সোমবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১২

আমাদের ওয়েব সাইটে আপনাকে স্বাগতম। সর্বশেষ সংবাদ জানতে আমাদের সাথেই থাকুন। সাহিত্য জগত নতুন পাতা

আমাদের সাহিত্য জগত ব্লগ www.shahitta.blog.com ২০১১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে সাহিত্য জগত ব্লগের, যার নেপথ্যে রয়েছে সাহিত্য জগত ব্লগে স্বাধীনতাবিরোধী যে কোনো প্রচারণা ও প্রকাশনার বিরুদ্ধে সদাতৎপর ‘দ্য এ-টিম’ এর সদস্যরা। আন্তর্জালে বাংলায় বাক স্বাধীনতা রক্ষায় শুরু থেকেই দায়বদ্ধ সাহিত্য জগত ব্লগ। আর তা যে কোনো মূল্যে অক্ষুন্ন রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলো, আছে এবং থাকবে। সাহিত্য জগত ব্লগ www.shahitta.blog.com উল্লেখ্য যে, এই ব্লগের কোন লেখা, কমেন্ট বা কন্টেন্টের স্বত্ব সম্পূর্ণভাবে সংশ্লিষ্ট ব্লগারের। লেখক, মন্তব্যকারী বা ব্লগের অনুমতি ছাড়া ব্লগ পোস্ট ও মন্তব্যের সম্পূর্ণ বা আংশিক অন্য কোথাও প্রকাশ, সংকলন, গ্রন্থনা করা বেআইনি। কপিরাইট ©সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত সাহিত্য জগত ২০১১-২০১২ সাহিত্য জগত প্রধান কার্যালয় www.shahitta.blog.com সম্পাদক ও প্রকাশক: প্রকৌশলী আলমগীর খন্দকার প্রধান কার্যালয় : ১২ আর, কে মিশন রোড, মতিঝিল (৫ম তলা) ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ | মোবাইল: +৮৮০১৭২৫১৩৬৮২৮ ফোন: ৮৮-০২-৯৩৭০২৫ ই-মেইল: shahittajagat@yahoo.com ওয়েবসাইট: www.shahittajagat.blog.com মে দিবস ও সাধারণ কথা আজকের পত্রিকা | May 1, 2012 by সাহিত্য জগত | 0 Comments { Edit } বছর ঘুরে আবার এসেছে মে মাস। শ্রমিকের অধিকার আদায় আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত এ মাসের ১ তারিখ সারা বিশ্বে পালিত হয় ‘বিশ্ব শ্রমিক দিবস’ (International Workers Day) হিসাবে। এ দিবসটি আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় শ্রমিকের মর্যাদা ও অধিকার এবং মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক, দায়িত্ব ও কর্তব্যের কথা। মে দিবসের ইতিহাস : ১৮৮৬ সালের ১লা মে আমেরিকার মেহনতী শ্রমিকশ্রেণী দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজের দাবীসহ আরো কয়েকটি ন্যায্য দাবী ও অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে জীবন বিসর্জন দিয়ে পৃথিবীর ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব শ্রমিক আন্দোলনের সূচনা করেছিল। ১লা মে’র ঐ ধর্মঘট দিবসের আগে যুক্তরাষ্ট্র বা বিশ্বের কোথাও শ্রম আইন ছিল না। শ্রমিকদের মানবিক ও অর্থনৈতিক অধিকার বলতেও কিছু ছিল না। তারা ছিল মালিকদের দাস মাত্র। তাদের কাজের কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা ছিল না। ছিল না সাপ্তাহিক কোন ছুটি। ছিল না চাকুরীর স্থায়িত্ব ও ন্যায়সঙ্গত মজুরীর নিশ্চয়তা। মালিকরা তাদের ইচ্ছামত শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করিয়ে নিত। এমনকি দৈনিক ১৮-২০ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করতেও বাধ্য করত শ্রমিকদের। এ অন্যায়, বঞ্চনা ও যুলুমের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমিকরা পর্যায়ক্রমে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। এ আন্দোলনের অংশ হিসাবে ‘আমেরিকান ফেডারেশন অব লেবার’-এর ১৮৮৫ সালের সম্মেলনের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজের দাবীতে ১৮৮৬ সালের ১লা মে আমেরিকা ও কানাডার প্রায় তিন লক্ষাধিক শ্রমিক শিকাগোর ‘হে মার্কেটে’ ঢালাই শ্রমিক, তরুণ নেতা এইচ সিলভিসের নেতৃত্বে এক বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে সর্বপ্রথম সর্বাত্মক শ্রমিক ধর্মঘট পালন করে। শ্রমিকদের সমাবেশ চলাকালে মালিকদের স্বার্থ রক্ষাকারী পুলিশ ও কতিপয় ভাড়াটিয়া গুন্ডা সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে অতর্কিতভাবে গুলী চালিয়ে ৬ জন শ্রমিককে নৃশংসভাবে হত্যা ও শতাধিক শ্রমিককে আহত করে। কিন্তু এতেও শ্রমিকরা দমে যায়নি। শ্রমিকদের ইস্পাতকঠিন ঐ সফল ধর্মঘটের কারণে কোন কোন মালিক ৮ ঘণ্টা কর্ম সময়ের দাবী মেনে নিতে বাধ্য হয়। ফলে শ্রমিকরা আরো উৎসাহী ও আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে ওঠে এবং সর্বস্তরে ৮ ঘণ্টা কর্ম সময়ের দাবী প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ২রা মে রবিবারের সাপ্তাহিক বন্ধের দিনের পর ৩ তারিখেও ধর্মঘট অব্যাহত রাখে। ঐ নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে আয়োজিত ৪ঠা মে শিকাগো শহরের ‘হে’ মার্কেটের বিশাল শ্রমিক সমাবেশে আবারো মালিকগোষ্ঠীর গুন্ডা ও পুলিশ বাহিনী বেপরোয়াভাবে গুলী বর্ষণ করে। এতে ৪ জন শ্রমিক নিহত ও বিপুল সংখ্যক আহত হয়। রক্তে রঞ্জিত হয় ‘হে’ মার্কেট চত্বর। গ্রেফতার করা হয় শ্রমিক নেতা স্পাইজ ও ফিলডেনকে। ঘটনার এখানেই শেষ নয়। এই নৃশংস হত্যাকান্ডের পর শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে রীতিমত ‘চিরুনী অভিযান’ চালিয়ে শিকাগো শহর ও এর আশপাশের এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারী ফিশার, লুইস, জর্জ এঞ্জেল, মাইকেল স্কোয়ার ও নীবেসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ শ্রমিক নেতাকে। পরবর্তীতে শ্রমিকদের এই ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনের বিরোধিতাকারী মালিকপক্ষের ব্যক্তিদের সমন্বয়ে ‘জুরি’ গঠন করে ১৮৮৬ সালের ২১ জুন শুরু করা হয় বিচারের নামে প্রহসন। একতরফা বিচারের মাধ্যমে ১৮৮৬ সালের ৯ অক্টোবর ঘোষিত হয় বিচারের রায়। রায়ে বিশ্বজনমতকে উপেক্ষা করে শ্রমিক নেতা পার্সন্স, ফিলডেন, স্পাইজ, লুইস, স্কোয়ার, এঞ্জেল ও ফিশারের বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ প্রদান করা হয় এবং ১৮৮৭ সালের ১১ নভেম্বর সে আদেশ কার্যকর করা হয়। শ্রমিক নেতা ও কর্মী হত্যার এ দিবসটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ১৮৮৯ সালের ১৪ জুলাই প্যারিসে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক শ্রমিক সম্মেলনে প্রতিবছর ১লা মে ‘শ্রমিক হত্যা দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস’ হিসাবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। দৈনিক ৮ ঘণ্টা কার্য সময় ও সপ্তাহে এক দিন সাধারণ ছুটি প্রদানের ব্যবস্থা করে প্রথম শ্রম আইন প্রণীত হয়। অন্যদিকে নারকীয় এ হত্যাযজ্ঞ গোটা বিশ্বের শ্রমিকদের অধিকারে এনে দেয় নতুন গতি। শিকাগো শহরে সৃষ্ট এ আন্দোলন ক্রমশ দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বময়। পৃথিবীর সকল শ্রমজীবী মানুষ এ আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দেয় ‘দুনিয়ার মজদুর এক হও’ শ্লোগানটি। সেই সাথে ১২৫ বছর আগে ঘটে যাওয়া সে ঘটনাটির কথা এখন প্রতিবছর বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্মরণ করা হয়ে থাকে ‘বিশ্ব শ্রমিক দিবস’ বা ‘মে দিবস’ হিসাবে। মে দিবস ও বাংলাদেশের শিশুঃ সারাবিশ্বের মতো আমাদের দেশেও ঘটা করে পালিত হয় মে দিবস। আমাদের দেশ বিশ্ব সভারই একটি সদস্য দেশ বলে একসাথে সাধারণ ছুটিও পালিত হয় এর সম্মানার্থে। শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি ও নির্দিষ্ট সময়মাফিক কাজ করার অধিকারকে স্বীকৃতি দানের জন্যই এই দিবস পালন। এই দিনে বিশেষ করে শ্রমিক শ্রেণীর মানুষ স্মরণ করে তাদের পূর্বসূরীদের, যারা ১৮৮৬ সালের ১লা মে আমেরিকার হে মার্কেটে ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য সংগ্রামরত অবস্থায় গুলী খেয়েছিল। সেদিন রাজপথ লাল হয়েছিল তাদের তাজা রক্তে। কিন্তু এরপর থেকে আজ পর্যন্ত দিনে দিনে কিছু কিছু করে বয়সী শ্রমিকদের উন্নতি হলেও উন্নতি হয়নি আমাদের মতো গরীব দেশগুরোর লাখ লাখ শিশু শ্রমিকের। আমাদের দেশে শিশুরা যখন ভাঙ্গা ইটের স্তূপের ওপর বসে ইটভাঙ্গে তখন যন্ত্রের মতো তাদের হাত উঠানামা করে। নির্মাণ এলাকায় গেলে তোমরা দেখবে যেসব জায়গায় তোমাদের মতো ছোট্ট বন্ধুরা ইট ভাঙ্গে সেখানে সারাক্ষণ ইটের লাল রঙের ধুলোয় তারা আচ্ছন্ন থাকে। নিঃশ্বাসের সাথে লাল রঙের ধুলোগুলো ভুরভুর করে ঢুকে তাদের ফুসফুসে। ছোট্ট কচি হাতে পড়ে যায় ফোসকা। অর্থনৈতিক বাস্তবতা তাদের এই শৈশবকে করে নির্মম কষাঘাত। কিন্তু তারপরও ক্ষীণ আশা ওদের মনে ভেসে বেড়ায় তাদের চোখে। ভাসে সুদূর ভবিষ্যতের কিছু স্বপ্ন, অনাগত দিনের কিছু অনিশ্চিত প্রত্যাশা। তাদের এই স্বপ্ন দেখার অধিকারও আছে। রয়েছে আরো অনেক কিছুর অধিকার। ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে শিশু অধিকার সনদ গৃহীত হওয়ার পর সর্বপ্রথম যে কয়টি দেশ এই সনদে স্বাক্ষর করে, বাংলাদেশ তাদের মধ্যে অন্যতম। তাছাড়া দক্ষিণ এশীয় শিশু বিষয়ক ১৯৯৬ সালের রাওয়ালপিন্ডি ঘোষণায় বিপজ্জনক পেশায় শিশুশ্রম অবসানের জন্য ২০০০ সালকে লক্ষ্য হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। বাংলাদেশ এ প্রস্তাবেরও অন্যতম স্বাক্ষরদাতা দেশ। কিন্তু আজ আমরা ২০১২ সালে এসে বাস্তব চিত্র কি দেখছি। ২০০০ সালের মধ্যে বিপজ্জনক পেশায় শ্রম বন্ধকরণের বাস্তব কার্যকারিতা এ পর্যন্ত সফলতার মুখ দেখেনি। বরং তোমরা প্রতিদিন সকালে লাখ লাখ শিশুর কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার মিছিল দেখলেই বুঝতে পারবে শিশুরা কতো কষ্টে আছে, কতো দুঃখে আছে। রেলস্টেশন অথবা কোন কাঁচা বাজারে গেলে দেখবে অনেক জ্ঞানী মানুষও এসব ছোট্ট শিশুদের মাথায় চেপে দিচ্ছে বড় বড় বোঝা। শিশুশ্রম তা যে কোন ধরনেরই হোক তা মোটেও কাম্য নয়, তবে একই সাথে অর্থনৈতিক বাস্তবতাকেও অস্বীকার করা যায় না। শিশুর হাতের খেলনা পুতুলটি তার থালায় কোন খাবার তুলে দিতে পারে না। কিন্তু লোহার হাতুড়ি হয়তো তা দিতে পারে। প্রতিটি শিশুরই রয়েছে শিক্ষা, সুরক্ষা, বিশ্রাম আর বিনোদনের অধিকার। কিন্তু শ্রমজীবী শিশুরা এর কোনটিই পায় না। শিশুদের কোন ধরনের কাজে নিয়োজিত করা যাবে তা নিয়ন্ত্রণের জন্য দেশে আইন আছে। কিন্তু এসব আইন কি বাস্তবায়ন হয়। না মোটেও না। জাতীয় শিশু নীতিতে ১৩ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের কারখানায় কাজ করা নিষিদ্ধ। ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুরা পরিবহন খাতের কয়েকটি অংশে কাজ করতে পারে না। তোমরা সকালে যখন কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে স্কুলে যাও, তখন রাস্তার পাশে তাকালেই দেখতে পাবে কতো শিশু বিপজ্জনক কঠিন কঠিন কাজে নিয়োজিত আছে। এসব কঠিন কাজ করলেও তারা ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত। ফলে ‘শিশুদের জন্য হ্যাঁ-বলুন’ এই মুখরোচক শ্লোগান নিয়ে জাতিসংঘ কর্তৃক সারাবিশ্বের শিশুদের জন্য বিশ্ব আন্দোলন কর্মসূচির প্রাক্কালে এই প্রশ্ন আজ আমাদের সবার। ইসলামে শিশুর জন্ম থেকে নয়, জন্মের পূর্ব থেকেই তার অধিকার নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে। এরপর শিশুর লালন-পালন ও পরিচর্যা করার হুকুমও দিয়েছে। বলেছেন, শিশুদের ভালবাসা আল্লাহর নৈকট্য লাভের উপায় বিশেষ। অথচ ১লা মে এলে আমরা মিছিল করি। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গালভরা বক্তব্য দিয়ে কথার ফুলঝুরি ছড়াই, শ্রমিকের অধিকারের কথা বলে গলা ফাটাই। কিন্তু শিশুরা যে আমাদের সমাজে নিগৃহীত আর নির্মম অত্যাচারের শিকার সেদিকে কারো নজর নেই। আমরা যতই ঘটা করে মে দিবস পালন করি। তার বাস্তবায়ন না হলে তা কাগজে-কলমে আর অনুষ্ঠানের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকবে। চলো না, আমরা ১লা মে শ্রমিক দিবস পালনের মাধ্যমে সকল শিশু শ্রমিকদের পাওনা ফিরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে সচেতন হই। তাদেরকে বুকে জড়িয়ে নেই। Ex4Me
বাড়িয়ে নিন আপনার ফেসবুক পেজের লাইক খুব সহজেই আমরা সবাই ফেসবুক এর সাথে পরিচিত। খুব কমই আছেন যারা ফেসবুক ব্যবহার করেন না। অনেকের আবার এক বা একাধিক ফেসবুক ফ্যান পেজ আছে। কিন্তু পেজে লাইক পাওয়া দুরুহ ব্যাপার। আবার আমরা অনেকেই বিভিন্ন আউটসোর্সিং সাইটে কাজ করি সেখানে হারহামেশাই লাইক এর কাজ পাওয়া যায়। কিন্তু লাইক পাওয়া মোটেও সহজ নয়। আজ আপনাদের আমি এমন একটি সাইটের সাথে পরিচয় করিয়ে দেব, যেটার মাধ্যমে আপনি ফেসবুকের পেজের লাইক পাবেন সহজেই। এটা অনেকটা বিনিময়ের মত। মানে আপনি যতগুলো লাইক করবেন ততগুলো লাইক পাবেন। আপনি লাইক এর মাধ্যমে কয়েন অর্জন করবেন আবার সেই কয়েন এর বিনিময়ে আপনার পেজের লাইক পাবেন। সহজ হিসাব। তো চলুন শুরু করা যাক ধাপে ধাপে…… প্লাসলাইক সাইট যেভাবে ব্যবহার করবেন User Guide Here ধাপ:১: প্রথমেই আপনাকে PlusLike.co.cc সাইটে সদস্য হতে হবে Register করতে হবে । রেজিস্ট্রশন সঠিকভাবে সম্পন্ন হলে আপনার ইমেইল এ একটিভ লিংক যাবে সেটাতে ক্লিক করে আপনার একাউন্ট একটিভ করে নিন। ধাপ ২: এবার আপনার কয়েন অর্জনের পালা এজন্য মেনুতে Earn coin –> Facebook এ ক্লিক করুন তাহলেই পেজের তালিকা চলে আসবে.. শুধু লাইক বাটনে চাপতে থাকুন আর পয়েন্ট অর্জন করতে থাকুন। কোন পেজর জন্য কত পয়েন্ট/কয়েন পাবেন সেটা পেজের নীচেই লেখা আছে। এছাড়াও Earn coin –>Auto surf এ ক্লিক করুন তাহলে অটোমেটিক সব ওয়েবসাইট ভিজিট হতে থাকবে । যার ফলে আপনি অটোমেটিক কয়েন পাবেন । প্রত্যেকটি ওয়েবসাইট ৫ সেকেন্ড করে ভিজিট হবে । আপনি ইচ্ছা করলে Pause বাটন এ ক্লিক করে Pause করতে পারবেন । ধাপ ৩: পয়েন্ট তো অর্জন হল এবার চলুন সেই পয়েন্ট খরচ করে নিজের পেজ এর লাইক বাড়িয়ে নেই। এ জন্য প্রথমেই আপনাকে আপনার ফ্যানপেজেটি ADD করতে হবে। বামের মেনু থেকে Add Site এ ক্লিক করুন। আপনি যদি ফেসবুক পেজ অ্যাড করতে চান এবার যে পেজ টি আসবে সেখানে উপর থেকে Facebook অপশন সিলেক্ট করুন। ১. এখানে আপনার ফ্যানপেজের URL লিখুন । যেমনঃ http://www.facebook.com/shahittajagat ২. এখানে পেজের টাইটেল লিখুন ৩. আর প্রতি লাইকের জন্য কত পয়েন্ট দিবেন সেটা দিন।(CPC) এবার Add Site এ ক্লিক করে সেভ করুন। **আর আপনি যদি ওয়েবপেজ অ্যাড করতে চান তাহলে Traffic Exchange অপশন সিলেক্ট করুন। ১. এখানে আপনার ওয়েবপেজ এর URL লিখুন । যেমনঃ http://www.googlebd.com ২. এখানে ওয়েবপেজের টাইটেল লিখুন ৩. আর প্রতি ভিজিটের জন্য কত পয়েন্ট দিবেন সেটা দিন।(CPC) পয়েন্ট বেশি দিলে আপনার ওয়েবপেজ আগে আসবে । এবার Add Site এ ক্লিক করে সেভ করুন। ধাপ ৪: এবার আপনার কাজ হল আপনার এড করা পেজে আপনার অর্জিত কয়েন সেট করা। এই জন্য My Site এ ক্লিক করে উপর থেকে Facebook এ ক্লিক করলেই আপনার এড করা ফেসবুক পেজের নাম দেখতে পারবেন। এবার Add Coin এ ক্লিক করুন মানে + সাইন এ ক্লিক করুন । এবার কত পয়ন্টে সেট করবেন সেই সংখ্যাটি লিখুন। তারপর সেভ করুন। আপনার কাজ শেষ এবার অন্যরা আপনার পেজ লাইক করবে আর কয়েন অর্জন করবে তার বিনিময়ে আপনি পাবেন আপনার কাঙ্খিত লাইক। My Site এ ক্লিক করে উপর থেকে Traffic Exchange এ ক্লিক করলেই আপনার এড করা web পেজের নাম দেখতে পারবেন। এবার Add Coin এ ক্লিক করুন মানে + সাইন এ ক্লিক করুন । এবার কত পয়ন্টে সেট করবেন সেই সংখ্যাটি লিখুন। তারপর সেভ করুন। আর আপনিও কয়েন অর্জন করতে থাকুন। বিঃদ্রঃ কয়েন অর্জনের আরেকটি সহজ উপায় হল রেফারেল সাইন আপ। আপনার রেফারেল একজন সদস্য হলেই আপনি পাবেন ৫০ কয়েন। এভাবে পয়েন্ট অর্জন করা বেশি সহজ। আপনি ইচ্ছা করলে আমাদের ব্যানার আপনার ওয়েবপেজ এ অ্যাড করতে পারেন । আমাদের ব্যানারে প্রতিটি ক্লিক এর জন্য আপনি পাবেন ১ কয়েন । আপনার রেফার লিংক বা ব্যানার কোড পাওয়ার জন্য Promote Site এ ক্লিক করলেই পেয়ে যাবেন। ধন্যবাদ।

বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

পরীক্ষামূলক সংস্করণ পরীক্ষামূলক সংস্করণ পরীক্ষামূলক সংস্করণ পরীক্ষামূলক সংস্করণ পরীক্ষামূলক সংস্করণ পরীক্ষামূলক সংস্করণ পরীক্ষামূলক সংস্করণ পরীক্ষামূলক সংস্করণ পরীক্ষামূলক সংস্করণ পরীক্ষামূলক সংস্করণ পরীক্ষামূলক সংস্করণ পরীক্ষামূলক সংস্করণ পরীক্ষামূলক সংস্করণ

পরীক্ষামূলক সংস্করণ পরীক্ষামূলক সংস্করণ পরীক্ষামূলক সংস্করণ পরীক্ষামূলক সংস্করণ পরীক্ষামূলক সংস্করণ পরীক্ষামূলক সংস্করণ পরীক্ষামূলক সংস্করণ পরীক্ষামূলক সংস্করণ
পরীক্ষামূলক সংস্করণ পরীক্ষামূলক সংস্করণ পরীক্ষামূলক সংস্করণ পরীক্ষামূলক সংস্করণ পরীক্ষামূলক সংস্করণ পরীক্ষামূলক সংস্করণ পরীক্ষামূলক সংস্করণ পরীক্ষামূলক সংস্করণ


আমাদের সাহিত্য জগত ব্লগের পক্ষথেকে দেশ বাসিকে নববর্ষের শুভেচ্ছা



পয়লা বৈশাখ বা পহেলা বৈশাখ (বাংলা পঞ্জিকার প্রথম মাস বৈশাখের ১ তারিখ) বাংলা সনের প্রথম দিন, তথা বাংলা নববর্ষ। দিনটি বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নববর্ষ হিসেবে বিশেষ উৎসবের সাথে পালিত হয়। ত্রিপুরায় বসবাসরত বাঙালিরাও এই উৎসবে অংশ নেয়। সে হিসেবে এটি বাঙালিদের একটি সর্বজনীন উৎসব। বিশ্বের সকল প্রান্তের সকল বাঙালি এ দিনে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়, ভুলে যাবার চেষ্টা করে অতীত বছরের সকল দুঃখ-গ্লানি। সবার কামনা থাকে যেন নতুন বছরটি সমৃদ্ধ ও সুখময় হয়। বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা একে নতুনভাবে ব্যবসা শুরু করার উপলক্ষ্য হিসেবে বরণ করে নেয়। গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে ১৪ই এপ্রিল অথবা ১৫ই এপ্রিল পহেলা বৈশাখ পালিত হয়। আধুনিক বা প্রাচীন যে কোন পঞ্জিকাতেই এই বিষয়ে মিল রয়েছে। বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৪ই এপ্রিল এই উৎসব পালিত হয়। বাংলা একাডেমী কর্তৃক নির্ধারিত আধুনিক পঞ্জিকা অনুসারে এই দিন নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এদিন বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে।

বাংলা দিনপঞ্জীর সঙ্গে হিজরী ও খ্রিস্টীয় সনের মৌলিক পার্থক্য হলো হিজরী সন চাঁদের হিসাবে এবং খ্রিস্টীয় সন ঘড়ির হিসাবে চলে। এ কারণে হিজরী সনে নতুন তারিখ শুরু হয় সন্ধ্যায় নতুন চাঁদের আগমনে। ইংরেজি দিন শুর হয় মধ্যরাতে। আর বাংলা সনের দিন শুরু হয় ভোরে, সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে। কাজেই সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শুর হয় বাঙালির পহেলা বৈশাখের উৎসব।

ইতিহাস

হিন্দু সৌর পঞ্জিকা অনুসারে বাংলা বারটি মাস অনেক আগে থেকেই পালিত হত। এই সৌর পঞ্জিকার শুরু হত গ্রেগরীয় পঞ্জিকায় এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় হতে। হিন্দু সৌর বছরের প্রথম দিন আসাম, বঙ্গ, কেরল, মনিপুর, নেপাল, উড়িষ্যা, পাঞ্জাব, তামিল নাড়ু এবং ত্রিপুরার সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে অনেক আগে থেকেই পালিত হত।এখন যেমন নববর্ষ নতুন বছরের সূচনার নিমিত্তে পালিত একটি সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে, এক সময় এমনটি ছিল না। তখন নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ আর্তব উৎসব তথা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে পালিত হত। তখন এর মূল তাৎপর্য ছিল কৃষিকাজ। প্রাযুক্তিক প্রয়োগের যুগ শুরু না হওয়ায় কৃষকদের ঋতুর উপরই নির্ভর করতে হত।

ভারতবর্ষে মুঘল সম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার পর সম্রাটরা হিজরী পঞ্জিকা অনুসারে কৃষি পণ্যের খাজনা আদায় করত। কিন্তু হিজরি সন চাঁদের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় তা কৃষি ফলনের সাথে মিলত না। এতে অসময়ে কৃষকদেরকে খজনা পরিশোধ করতে বাধ্য করতেহত। খাজনা আদায়ে সুষ্ঠুতা প্রণয়নের লক্ষ্যে মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। তিনি মূলত প্রাচীন বর্ষপঞ্জতে সংস্কার আনার আদেশ দেন। সম্রাটের আদেশ মতে তৎকালীন বাংলার বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও চিন্তাবিদ ফতেহউল্লাহ সিরাজি সৌর সন এবং আরবি হিজরী সনের উপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সনের নিয়ম বিনির্মাণ করেন। ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ই মার্চ বা ১১ই মার্চ থেকে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় (৫ই নভেম্বর, ১৫৫৬) থেকে। প্রথমে এই সনের নাম ছিল ফসলি সন, পরে বঙ্গাব্দ বা বাংলা বর্ষ নামে পরিচিত হয়।
ঢাকার ইসলামপুরের এক কাপড়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের হালখাতা অনুষ্ঠান

আকবরের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপন শুরু হয়। তখন প্রত্যেককে চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সকল খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করতে হত। এর পর দিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখে ভূমির মালিকরা নিজ নিজ অঞ্চলের অধিবাসীদেরকে মিষ্টান্ন দ্বারা আপ্যায়ন করতেন। এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন করা হত। এই উৎসবটি একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয় যার রুপ পরিবর্তন হয়ে বর্তমানে এই পর্যায়ে এসেছে। তখনকার সময় এই দিনের প্রধান ঘটনা ছিল একটি হালখাতা তৈরি করা। হালখাতা বলতে একটি নতুন হিসাব বই বোঝানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে হালখাতা হল বাংলা সনের প্রথম দিনে দোকানপাঠের হিসাব আনুষ্ঠানিকভাবে হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া। গ্রাম, শহর বা বাণিজ্যিক এলাকা, সকল স্থানেই পুরনো বছরের হিসাব বই বন্ধ করে নতুন হিসাব বই খোলা হয়। হালখাতার দিনে দোকনদাররা তাদের ক্রেতাদের মিষ্টান্ন আপ্যায়ন করে থাকে। এই প্রথাটি এখনও অনেকাংশে প্রচলিত আছে, বিশেষত স্বর্ণের দোকানে।

আধুনিক নববর্ষ উদযাপনের খবর প্রথম পাওয়া যায় ১৯১৭ সালে। প্রথম মহাযুদ্ধে ব্রিটিশদের বিজয় কামনা করে সে বছর পহেলা বৈশাখে হোম কীর্ত্তণ ও পূজার ব্যবস্থা করা হয়। এরপর ১৯৩৮ সালেও অনুরূপ কর্মকান্ডের উল্লেখ পাওযা যায়।[১] পরবর্তী সময়ে ১৯৬৭ সনের আগে ঘটা করে পহেলা বৈশাখ পালনের রীতি তেমন একটা জনপ্রিয় হয় নি।


বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপন

নতুন বছরের উৎসবের সঙ্গে গ্রামীণ জনগোষ্টীর কৃষ্টি ও সংস্কৃতির নিবিড় যোগাযোগ। গ্রামে মানুষ ভোরে ঘুম থেকে ওঠে, নতুন জামাকাপড় পড়ে এবং আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের বাড়িতে বেড়াতে যায়। বাড়িঘর পরিষ্কার করা হয় এবং মোটমুটি সুন্দর করে সাজানো হয়। বিশেষ খাবারের ব্যবস্থাও থাকে। কয়েকটি গ্রামের মিলিত এলাকায়, কোন খোলা মাঠে আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলার। মেলাতে থাকে নানা রকম কুঠির শিল্পজাত সামগ্রীর বিপণন, থাকে নানারকম পিঠা পুলির আয়োজন। অনেক স্থানে ইলিশ মাছ দিয়ে পান্তা ভাত খাওয়ার ব্যবস্থা থাকে। এই দিনের একটি পুরনো সংস্কৃতি হলো গ্রামীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন। এর মধ্যে থাকে নৌকাবাইচ, লাঠি খেলা কিংবা কুস্তির। বাংলাদেশে এরকম কুস্তির সবচেয়ে বড় আসরটি হয় ১২ বৈশাখ, চট্টগ্রাম-এর লালদিঘী ময়দান-এ। এটি জব্বারের বলি খেলা নামে পরিচিত।

ঢাকায় রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ ও মঙ্গল শোভাযাত্রা

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরে পহেলা বৈশাখের মূল অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দু সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট-এর গানের মাধ্যমে নতুন বছরের সূর্যকে আহবান। পহেলা বৈশাখ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ছায়ানটের শিল্পীরা সম্মিলত কন্ঠে গান গেয়ে নতুন বছরকে আহবান জানান। স্থানটির পরিচিতি বটমূল হলেও প্রকৃত পক্ষে যে গাছের ছায়ায় মঞ্চ তৈরি হয় সেটি বট গাছ নয়, অশ্বত্থ গাছ [২]। ১৯৬০-এর দশকে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠির নিপীড়ন ও সাংস্কৃতিক সন্ত্রাসের প্রতিবাদে ১৯৬৭ সাল থেকে ছায়ানটের এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সূচনা। [২]।

ঢাকার বৈশাখী উৎসবের একটি আবশ্যিক অঙ্গ মঙ্গল শোভাযাত্রা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে পহেলা বৈশাখে সকালে এই শোভাযাত্রাটি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় চারুকলা ইনস্টিটিউটে এসে শেষ হয়। এই শোভাযাত্রায় গ্রামীণ জীবণ এবং আবহমান বাংলাকে ফুটিয়ে তোলা হয়। শোভাযাত্রায় সকল শ্রেণী-পেশার বিভিন্ন বয়সের মানুষ অংশগ্রহণ করে। শোভাযাত্রার জন্য বানানো নয় রং-বেরঙের মুখোশ ও বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিলিপি। ১৯৮৯ সাল থেকে [২] এই মঙ্গল শোভাযাত্রা পহেলা বৈশাখের উৎসবের একটি অন্যতম আকর্ষণ।পয়লা বৈশাখ বা পহেলা বৈশাখ (বাংলা পঞ্জিকার প্রথম মাস বৈশাখের ১ তারিখ) বাংলা সনের প্রথম দিন, তথা বাংলা নববর্ষ। দিনটি বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নববর্ষ হিসেবে বিশেষ উৎসবের সাথে পালিত হয়। ত্রিপুরায় বসবাসরত বাঙালিরাও এই উৎসবে অংশ নেয়। সে হিসেবে এটি বাঙালিদের একটি সর্বজনীন উৎসব। বিশ্বের সকল প্রান্তের সকল বাঙালি এ দিনে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়, ভুলে যাবার চেষ্টা করে অতীত বছরের সকল দুঃখ-গ্লানি। সবার কামনা থাকে যেন নতুন বছরটি সমৃদ্ধ ও সুখময় হয়। বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা একে নতুনভাবে ব্যবসা শুরু করার উপলক্ষ্য হিসেবে বরণ করে নেয়। গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে ১৪ই এপ্রিল অথবা ১৫ই এপ্রিল পহেলা বৈশাখ পালিত হয়। আধুনিক বা প্রাচীন যে কোন পঞ্জিকাতেই এই বিষয়ে মিল রয়েছে। বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৪ই এপ্রিল এই উৎসব পালিত হয়। বাংলা একাডেমী কর্তৃক নির্ধারিত আধুনিক পঞ্জিকা অনুসারে এই দিন নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এদিন বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে।

বাংলা দিনপঞ্জীর সঙ্গে হিজরী ও খ্রিস্টীয় সনের মৌলিক পার্থক্য হলো হিজরী সন চাঁদের হিসাবে এবং খ্রিস্টীয় সন ঘড়ির হিসাবে চলে। এ কারণে হিজরী সনে নতুন তারিখ শুরু হয় সন্ধ্যায় নতুন চাঁদের আগমনে। ইংরেজি দিন শুর হয় মধ্যরাতে। আর বাংলা সনের দিন শুরু হয় ভোরে, সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে। কাজেই সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শুর হয় বাঙালির পহেলা বৈশাখের উৎসব।
ইতিহাস
হিন্দু সৌর পঞ্জিকা অনুসারে বাংলা বারটি মাস অনেক আগে থেকেই পালিত হত। এই সৌর পঞ্জিকার শুরু হত গ্রেগরীয় পঞ্জিকায় এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় হতে। হিন্দু সৌর বছরের প্রথম দিন আসাম, বঙ্গ, কেরল, মনিপুর, নেপাল, উড়িষ্যা, পাঞ্জাব, তামিল নাড়ু এবং ত্রিপুরার সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে অনেক আগে থেকেই পালিত হত।এখন যেমন নববর্ষ নতুন বছরের সূচনার নিমিত্তে পালিত একটি সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে, এক সময় এমনটি ছিল না। তখন নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ আর্তব উৎসব তথা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে পালিত হত। তখন এর মূল তাৎপর্য ছিল কৃষিকাজ। প্রাযুক্তিক প্রয়োগের যুগ শুরু না হওয়ায় কৃষকদের ঋতুর উপরই নির্ভর করতে হত।

ভারতবর্ষে মুঘল সম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার পর সম্রাটরা হিজরী পঞ্জিকা অনুসারে কৃষি পণ্যের খাজনা আদায় করত। কিন্তু হিজরি সন চাঁদের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় তা কৃষি ফলনের সাথে মিলত না। এতে অসময়ে কৃষকদেরকে খজনা পরিশোধ করতে বাধ্য করতেহত। খাজনা আদায়ে সুষ্ঠুতা প্রণয়নের লক্ষ্যে মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। তিনি মূলত প্রাচীন বর্ষপঞ্জতে সংস্কার আনার আদেশ দেন। সম্রাটের আদেশ মতে তৎকালীন বাংলার বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও চিন্তাবিদ ফতেহউল্লাহ সিরাজি সৌর সন এবং আরবি হিজরী সনের উপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সনের নিয়ম বিনির্মাণ করেন। ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ই মার্চ বা ১১ই মার্চ থেকে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় (৫ই নভেম্বর, ১৫৫৬) থেকে। প্রথমে এই সনের নাম ছিল ফসলি সন, পরে বঙ্গাব্দ বা বাংলা বর্ষ নামে পরিচিত হয়।
ঢাকার ইসলামপুরের এক কাপড়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের হালখাতা অনুষ্ঠান

আকবরের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপন শুরু হয়। তখন প্রত্যেককে চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সকল খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করতে হত। এর পর দিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখে ভূমির মালিকরা নিজ নিজ অঞ্চলের অধিবাসীদেরকে মিষ্টান্ন দ্বারা আপ্যায়ন করতেন। এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন করা হত। এই উৎসবটি একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয় যার রুপ পরিবর্তন হয়ে বর্তমানে এই পর্যায়ে এসেছে। তখনকার সময় এই দিনের প্রধান ঘটনা ছিল একটি হালখাতা তৈরি করা। হালখাতা বলতে একটি নতুন হিসাব বই বোঝানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে হালখাতা হল বাংলা সনের প্রথম দিনে দোকানপাঠের হিসাব আনুষ্ঠানিকভাবে হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া। গ্রাম, শহর বা বাণিজ্যিক এলাকা, সকল স্থানেই পুরনো বছরের হিসাব বই বন্ধ করে নতুন হিসাব বই খোলা হয়। হালখাতার দিনে দোকনদাররা তাদের ক্রেতাদের মিষ্টান্ন আপ্যায়ন করে থাকে। এই প্রথাটি এখনও অনেকাংশে প্রচলিত আছে, বিশেষত স্বর্ণের দোকানে।

আধুনিক নববর্ষ উদযাপনের খবর প্রথম পাওয়া যায় ১৯১৭ সালে। প্রথম মহাযুদ্ধে ব্রিটিশদের বিজয় কামনা করে সে বছর পহেলা বৈশাখে হোম কীর্ত্তণ ও পূজার ব্যবস্থা করা হয়। এরপর ১৯৩৮ সালেও অনুরূপ কর্মকান্ডের উল্লেখ পাওযা যায়।[১] পরবর্তী সময়ে ১৯৬৭ সনের আগে ঘটা করে পহেলা বৈশাখ পালনের রীতি তেমন একটা জনপ্রিয় হয় নি।


বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপন

নতুন বছরের উৎসবের সঙ্গে গ্রামীণ জনগোষ্টীর কৃষ্টি ও সংস্কৃতির নিবিড় যোগাযোগ। গ্রামে মানুষ ভোরে ঘুম থেকে ওঠে, নতুন জামাকাপড় পড়ে এবং আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের বাড়িতে বেড়াতে যায়। বাড়িঘর পরিষ্কার করা হয় এবং মোটমুটি সুন্দর করে সাজানো হয়। বিশেষ খাবারের ব্যবস্থাও থাকে। কয়েকটি গ্রামের মিলিত এলাকায়, কোন খোলা মাঠে আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলার। মেলাতে থাকে নানা রকম কুঠির শিল্পজাত সামগ্রীর বিপণন, থাকে নানারকম পিঠা পুলির আয়োজন। অনেক স্থানে ইলিশ মাছ দিয়ে পান্তা ভাত খাওয়ার ব্যবস্থা থাকে। এই দিনের একটি পুরনো সংস্কৃতি হলো গ্রামীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন। এর মধ্যে থাকে নৌকাবাইচ, লাঠি খেলা কিংবা কুস্তির। বাংলাদেশে এরকম কুস্তির সবচেয়ে বড় আসরটি হয় ১২ বৈশাখ, চট্টগ্রাম-এর লালদিঘী ময়দান-এ। এটি জব্বারের বলি খেলা নামে পরিচিত।

ঢাকায় রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ ও মঙ্গল শোভাযাত্রা

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরে পহেলা বৈশাখের মূল অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দু সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট-এর গানের মাধ্যমে নতুন বছরের সূর্যকে আহবান। পহেলা বৈশাখ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ছায়ানটের শিল্পীরা সম্মিলত কন্ঠে গান গেয়ে নতুন বছরকে আহবান জানান। স্থানটির পরিচিতি বটমূল হলেও প্রকৃত পক্ষে যে গাছের ছায়ায় মঞ্চ তৈরি হয় সেটি বট গাছ নয়, অশ্বত্থ গাছ [২]। ১৯৬০-এর দশকে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠির নিপীড়ন ও সাংস্কৃতিক সন্ত্রাসের প্রতিবাদে ১৯৬৭ সাল থেকে ছায়ানটের এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সূচনা। [২]।

ঢাকার বৈশাখী উৎসবের একটি আবশ্যিক অঙ্গ মঙ্গল শোভাযাত্রা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে পহেলা বৈশাখে সকালে এই শোভাযাত্রাটি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় চারুকলা ইনস্টিটিউটে এসে শেষ হয়। এই শোভাযাত্রায় গ্রামীণ জীবণ এবং আবহমান বাংলাকে ফুটিয়ে তোলা হয়। শোভাযাত্রায় সকল শ্রেণী-পেশার বিভিন্ন বয়সের মানুষ অংশগ্রহণ করে। শোভাযাত্রার জন্য বানানো নয় রং-বেরঙের মুখোশ ও বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিলিপি। ১৯৮৯ সাল থেকে [২] এই মঙ্গল শোভাযাত্রা পহেলা বৈশাখের উৎসবের একটি অন্যতম আকর্ষণ।



ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসে ২০০-৮০০ইউরো আয় করুন
ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসে ২০০-৮০০ইউরো আয় করুন
TOP Online Earning Site www.shahittajagat.blogspot.com
ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসে ২০০-৮০০ইউরো আয় করুন প্রতি মাসে।যারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে টাকা আয় করার কথা ভাবছেন তাদের জন্য সুখবর। সহজে, কোন অভিজ্ঞতা ছাড়াই আপনি টাকা আয় করতে পারেন। তবে অবশ্যই আপনার নিজস্ব কম্পিউটার ও ইন্টারনেট কানেকশ
ন থাকা জরুরী। আপনি প্রতি দিন ২-৩ ঘন্টা ইন্টারনেট ইউজ করে এই টাকা আয় করতে পারেন। এটার নাম রেফারেন্স মার্কেটিং অথবা ফ্রেন্ডস এড জবও বলতে পারেন। এখন দেখুন এটি কিভাবে আপনাকে টাকা আয় করতে সহযোগী ও মনযোগী করবে: signup for free
http://www.sitetalk.com/hemalkhandaker
এই লিংক এ ক্লি করে রেজিষ্ট্রেশন করুন। এটা একটি সোস্যাল নেটওয়ার্ক সাইট। এটিতে রেজিষ্ট্রেশন করার সাথে আপনি http://www.unaico.com/ এর সদস্য হয়ে যাবেন। এই দুইটি সাইটে ডাটাবেজ কানেকশন একই বিধায় এই দুইটি সাইট আপনাকে তাদের গ্রাহক বাড়ানোর সহযোগীতার কারনে এই ইনকাম আপনাকে, আমাকে এবং সবাইকে দিচ্ছে।
কেউ কেউ ভাবছেন এটা একটা কঠিন কাজ, আমি মনে করি এটি তেমন কঠিন কাজ নয়। এই সাইটে কাজ করার ও ইনকাম করার কিছু নিয়মাবলী রয়েছে, প্রথমে সে গুলো জেনে নি
ন।