শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১১

শীতের তীব্রতা থাকবে আরও কয়েকদিন সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট www.shahittajagat.blogspot.com ঢাকা: দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেলেও সারা দেশেই তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। সারাদেশে তীব্র শীতের এ অনুভূতি আরও ২ থেকে তিন দিন একই অবস্থায় থাকবে। এ মৌসুমে এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শুক্রবার রাজশাহীতে ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়ার রেকর্ড করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় তৈরি করা শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলসহ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে মৃদু থেকে মাঝারী শৈত্যপ্রবাহ রয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া দেশের প্রায় সর্বত্রই মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। সূর্যের আলোর তাপ স্থলভাগে না আসায় শীতের তীব্রতা বেড়ে যাচ্ছে বলেও জানায় আবহাওয়া অফিস। যদিও সারা দেশের আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দিনের ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি এবং দেশের অন্যত্র প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। দেশে শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সিলেটে ২৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ঈশ্বরদীতে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি, বগুড়ায় ১০ ডিগ্রি, রংপুরে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি, সৈয়দপুরে ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি, দিনাজপুরে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি, যশোরে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি ও চুয়াডাঙ্গায় ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।


শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১১

রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু লেডি কিলার
লেখকঃ- স্টাফ রিপোর্টার সাহিত্য জগত :

ঈদের আগে নরসিংদীর মেয়র লোকমান হোসেন মারা যায়। এ নিয়ে নরসিংদীর অবস্থা থমথমে বিরাজ করেছিলো। এ নিয়ে মেয়র লোকমান হোসেনের ভাই কামরুজ্জামান, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজুর ভাই সালাউদ্দিন সহ ১৪জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কিন্তু দু:খ জনক ভাবে কেউ গ্রেফতার হয়নি। উল্টো ভাবে গ্রেফতার করা হল বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকনকে। শাক দিয়ে মাছ ঢাকার কত বড় আয়োজন।

খোকন যখন ছিলো ঢাকায় তখন মেয়র লোকমান হোসেন গুলিবৃদ্ধ হয়। লোকমানের হত্যার মামলায় খায়রুল কবির খোকনের নাম নাই তারপরও তাকে সরকারের আইনশৃঙ্গলা বাহিনী গ্রেফতার করে। আসল আসামী দের আইনশৃঙ্গলা বাহিনী গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয়। এই হত্যাকান্ডে নরসিংদীর সবাই দায় করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজিউদ্দির আহমেদ রাজুকে। পাঠক গন আজকে আমার লেখার বিষয় লোকমান হত্যাকান্ড নয়। আজকে আমার লেখার বিষয় হলো,নারি খেকো ,মদ্যপ,নারি কেলেংকারি করে যে অভস্ত্য বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীসভার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুকে নিয়ে।

এবার আসা যাক আমার লেখার বিষয় বস্তুতে। পাঠকগন আপনাদের মনে আছে নারী কিলার রসু খাঁর ইচ্ছা ছিলো ১০০ নারী হত্যা করা। তিরি ১১টা নারী হত্যা করেছিলো । তারপরে র‌্যাবের হাতে ধরা পড়ে চাদঁপুরের রসু খাঁ। কিন্তু বাংলাদেশে রসু খাঁর মত লোকদের অভাব নেই। রসু খাঁ নারী হত্যা করেছিলো । একজন চলে যায় আবার আরেকজন জন্ম নেয়। বরাবরের মত এবার আমাদের চোখের সামনে রসু খাঁ হয়েছে বাংলাদেশের সরকারের মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু। তিনি নারী হত্যা করে না। তিনি বেশ কয়েকজন নারীর ইজ্জত লুটে নিয়েছে। নরসিংদীর মেয়র লোকমান হোসেন হত্যাকাণ্ডের পর এসব কলঙ্কময় কাহিনী এখন নরসিংদীবাসীর মুখে মুখে।

এবার আপনাদের বলি মন্ত্রী রাজুর সম্পর্কে:- রাজিউদ্দিন রাজু নরসিংদী-৫ রায়পুরার নির্বাচিত সংসদ সদস্য। লোকমান হত্যাকাণ্ড নিয়ে নরসিংদীতে প্রতিবাদের উত্তাল পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় সরকারের উচ্চমহল থেকেও রাজুর বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নেওয়া হয়। এতে রাষ্ট্রীয় উচ্চক্ষমতার একটি গোয়েন্দা সংস্থা ব্যাপক অনুসন্ধান শেষে মন্ত্রী রাজুর বিরুদ্ধে মদ, নারীসহ বহুবিধ কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে একটি জরুরি প্রতিবেদন পাঠিয়েছে।

এবার আপনাদের মন্ত্রী রাজুর অতীত বর্তমানের আমলনামা বলছি:-

১.২০০০ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকতে মন্ত্রী রাজু বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। সে সময় তিনি রায়পুরার মরজাল ইউনিয়নের বাসিন্দা ফুটবলার সন্তোষ সাহার সুন্দরী স্ত্রীকে নিয়ে এক ঘরে একত্রে ছিলেন। এলাকার লোকজন এই ঘটনা টের পেয়ে ওই বাড়ি ঘেরাও করে। পরে সেখানকার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সহযোগীতায় এই ঘটনা বেশী দূর গড়ায়নি।

২. মন্ত্রী রাজিউদ্দিন রাজু নরসিংদীর রাঙামাটি এলাকায় সিরাজ ফকিরের বাড়ির উল্টোদিকে এক বাড়িতে ফ্লাগ ছাড়া গাড়ি নিয়ে আসেন এবং বেশ কিছু সময় এখানে অহিবাহিত করেন। পাঠকগন আপনাদের আরো খোলাসা করে বলি, সিরাজ ফকিরের বাড়ির উল্টো দিকে মণি (২৮) ও সুপ্তি (৩২) নামে দুই বোনের সঙ্গে তার কয়েক বছর ধরে অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা যায়। একটি শীর্ষ স্থানীয় বার্তা সংস্থার বরাত দিয়ে জানা যে,মন্ত্রী রাজু সুপ্তির বোন মনিকে তিন মাসের গর্ভবতী অবস্থায় একটি ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলেন। যখন ওই ছেলেটি বুঝতে পারে তার স্ত্রী বিয়ের আগে গর্ভবতী তখন তিনি মণিকে তালাক দেন। মণি এখন রাঙামাটি এলাকায় তার ছেলে নিয়ে বসবাস করছেন। মন্ত্রী রাজু বর্তমানে নরসিংদীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সুন্দরী ছাত্রী কিংবা টিচারদের সঙ্গে অন্তরঙ্গতা গড়ে তোলেন এবং তাদের সার্কিট হাউসে কারণে-অকারণে আমন্ত্রণ জানান বা দেখা করতে বলেন।

৩. নরসিংদীর ভেলানগরে আজিজ বিল্ডিংয়ের পাশে অবস্থিত বিটিএম ইংলিশ স্কুলের এক অনুষ্ঠান চলাকালে এক সুন্দরী উপস্থাপিকাকে পছন্দ করে স্টেজের বাইরে ডেকে পাঠান এবং তার সঙ্গে বেশ কিছু সময় আলাপ করেন। মেয়েটির বয়স আনুমানিক ২৬-২৭, নাম জানা যায়নি। তাকে তিনি সার্কিট হাউসে দেখা করতে বলেন। সেই মেয়েটি পরে তার ভাইকে বিষয়টি জানান এবং তিনি আর সার্কিট হাউসে যাননি।

৪.নরসিংদী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ২০০৯ সালের ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি ওই কলেজের রেজিস্ট্রার ইসরাত জাহানের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন। তাকে সার্কিট হাউসে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানালে তিনি তা গ্রহণ করেন। তিনি প্রায়শই মন্ত্রীর সঙ্গে সার্কিট হাউসে দেখা করেন। জানা যায় তিনি এখন বিভিন্ন তদ্বিরের কাজ করেন এবং ঢাকায় সংসদ ভবনেও মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে থাকেন।

৫. নরসিংদী গভর্নমেন্ট মহিলা কলেজের শিক্ষিকা তৈয়বাকে কলেজের অনুষ্ঠানে পছন্দ হলে তাকে সার্কিট হাউসে দেখা করতে বলেন। তৈয়বাও মন্ত্রীর সঙ্গে মাঝে মাঝে দেখা করেন এবং বিভিন্ন তদ্বিরের কাজ করেন বলে জানা যায়। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে উপজেলা নির্বাচনের আগের দিন তিনি রায়পুরা এসে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করেন। তিনি তার পছন্দের প্রার্থীর জন্য এলাকায় আসেন। রাতে চলে যাওয়ার সময় তার গাড়িতে একজন সুন্দরী মেয়ে ওঠেন (নাম জানা যায়নি)। তাকে নিয়ে তিনি অন্য কোথাও সময় কাটান বলেন জানা যায়।

৬. উপজেলা নির্বাচনে তিনি সার্কিট হাউসে সদর ইউএনও শারমিন জাহানের সঙ্গে অনৈতিক কাজের চেষ্টা করলে ইউএনও কোনো রকমে ছুটে বাথরুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে আত্মহত্যার হুমকি দেন। পরে সার্কিট হাউসের ভেতরেই বিষয়টি ফয়সালা হয় এবং শারমিন জাহান চলে যান। উল্লেখ্য, ইউএনও হওয়া সত্ত্বেও মন্ত্রীর নির্দেশে তাকে রায়পুরার বিভিন্ন সফরে মন্ত্রীর সঙ্গী হতে হতো। উল্লেখ্য, শারমিন জাহান ২০০৯ সালের ৩ মে সদর ইউএনও হিসেবে যোগদান করেন। চল্লিশের কাছাকাছি বয়সী ওই মহিলা অবিবাহিত।

৭.বর্তমানে নরসিংদীর ভারপ্রাপ্ত এনডিসি হিসেবে কমর্রত সুন্দরী বিসিএস ক্যাডার মহিলা রেনিসা রডরিক্সের সঙ্গে মন্ত্রীর খুব সখ্য গড়ে উঠেছে। জানা যায়, সার্কিট হাউসে এনডিসি মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে থাকেন এবং মন্ত্রীর সফরসঙ্গী হন। তাকে নিয়েও মুখরোচক আলোচনা শোনা যায়। অর্থাৎ মন্ত্রী সুন্দরী নারীদের প্রতি দূর্বল। তিনি প্রায়শই তাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন এবং সুযোগ বুঝে অনৈতিক সম্পর্ক গড়েন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজি উদ্দিন রাজুর ৭টি নারী কেলেংকারির ঘটনা উপরের তুলে ধরা হল।

এবার আসা যাক রাজুর অন্য কাজে। নারী কেলেংকারী ছাড়াও রাজিউদ্দিন রাজু, মদ্যপান করেন বলে জানা যায়।

পাঠকগন এখন আপনারা বলেন এই মন্ত্রীকে সরকারের এখনো রাখা উচিত? যেই মন্ত্রী অন্য মানুষের সুন্দরী স্ত্রী দেখলে সে বাড়িতে যায় অনৈতিক কাজ করার জন্য । কিন্তু কেনো যাবে সে ? মানুষের সুন্দরী স্ত্রী থাকলেই কি তার অনৈতিক কাজ করার জন্য লাগবে? তার কি লজ্জা নাই? তার ঘরে তি স্ত্রী ,মেয়ে সন্তান নাই।

শুধু সুন্দরী স্ত্রী থাকলেই তিনি যায় না। মোট কথা যেখানে সুন্দরী মহিলা থাকবে সেখানে যেয়ে তাদের সাথে সখ্য গড়ে তুলে অনৈতিক কাজ করে। তার প্রমান হলো , নরসিংদীর রাঙামাটি এলাকায় সিরাজ ফকিরের বাড়ির উল্টো পাশে দুই বোন মণি ও সুপ্তির সাথে কয়েক বছর ধরে অনৈতিক কাজ চালিয়ে আসছিলো। এক পর্যায়ে তিনি মনিকে গর্ভবতি করে ফেলেন। এই ঘটনা লোকেমুখে না প্রকাশ হতেই মণিকে অন্য এক ছেলের সাথে বিবাহ দেয়। সে ছেলে পরে জানতে পারে তার স্ত্রী বিয়ার আগে গর্ভবতি। পরে তিনি মণিকে তালাক দেয়। তখন কিন্তু রাজু কিছু করে নাই। কারণ কি পাঠকগন? আপনাদের কাছে উওর আশা করলাম।
www.shahittajagat.blogspot.com

মন্ত্রী রাজুর হাত থেকে বাদ যায় নাই সরকারি কর্মকর্তা,কলেজের শিক্ষক, এবং অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা। তিনি উপজেলা নির্বাচনে তিনি সার্কিট হাউসে সদর ইউএনও শারমিন জাহানের সঙ্গে অনৈতিক কাজের চেষ্টা চালান। কোনো রকমে ছুটে বাথরুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে আত্মহত্যার হুমকি দেন। পরে এটা সার্কিট হাউসের ভিতর সমাধান হয়ে যায়।
নরসিংদী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ২০০৯ সালের ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি ওই কলেজের রেজিস্ট্রার ইসরাত জাহানের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন।
বর্তমানে নরসিংদীর ভারপ্রাপ্ত এনডিসি হিসেবে কমর্রত সুন্দরী বিসিএস ক্যাডার মহিলা রেনিসা রডরিক্সের সঙ্গে মন্ত্রীর খুব সখ্য গড়ে উঠেছে। তাদের দোষ কি? তাদের কি সুন্দরী হওয়া কি দোষ?

এখন কথা হল ,একজন মন্ত্রী হয়ে কিভাবে সরকারি কর্মকর্তাদের অনৈতিক কাজ করার প্রস্তাব দেন। তার কি দ্বায়িত্ব বলতে কিছু নাই? না এটাই কি তার দায়িদ্ব? পাঠক গন আপনাদের কাছে এটারও দয়া করে উওর আশা করলাম। শেখ হাসিনা আপা,আপনি নিশ্চয়ই জানেন নরসিংদিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটি শক্ত ঘাটি। আর সেই ঘাটিতে যদি ঘটে এমনই ঘটনা তাহলে মানুষ এর জবাব দেবে সামনে । আর সেই জবাব হবে ব্যলটের মাধ্যমে। ব্যলটের মাধ্যমে নরসিংদীর মানুষ এসব নারী কিলার দের উচিত জবাব দেবে। প্রধানমন্ত্রী আরেকটা কথা ,আপনার কছে এই নারী কেলেংকারীর বিচার আমি চাব না। কারন আপনি বলেছেন, যার বিরুদ্বে মিডিয়া নিউজ করবে তাদের মামলা করতে। এতে করে আপনি দোষীদের সমর্থন জুগিয়েছেন। তাই আপনার কাছে এই বিচার চেয়ে লাভ নেই।

আপনি সব সময় বলেন,নারীদের অধিকার। নারীদের পাশে থাকার কথা আপনি বলেন। তাহলে আপনার কাছে একটা অনুরোধ আপনি আপনার চরিত্রহীনা মন্ত্রী রাজিউদ্দিন রাজুকে বহিষ্কার করে প্রমান করুন আপনি নারীদের পাশে আছেন।

প্রধানমন্ত্রী আপনি আরেকটা কথা সব সময় বলে থাকেন ,তা হলো,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে গনজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এখন কথা হলো, মানুষ আপনাদের বিশ্বাস করে ভোট দিয়েছে। তাদের উন্নয়নের জন্য। মানুষ তাদের আপনার মন্ত্রীদের উজ্জত লুট করার জন্য আওয়ামী লীগকে ভোট দেয় নাই। আপনি এই চরিএহীন মন্ত্রী রাজিউদ্দিন রাজুকে বহিষ্কার করে শাস্তি দিন। আর যদি তা না করেন,তাহলে মানুষ এর জবাব দেবে সামনে নির্বাচনে ব্যলটের মাধ্যমে।
 

মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর, ২০১১

নরসিংদী পৌর মেয়র গুলিতে নিহত

নরসিংদীর মেয়র, আ.লীগ নেতা লোকমান গুলিতে নিহত

(অক্টোবর ১,মঙ্গলবার,ঢাকা)-মুখোশধারীদের গুলিতে আহত নরসিংদী পৌরসভার মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগ নেতা লোকমান হোসেন মারা গেছেন।
গুলিবিদ্ধ লোকমানকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনার এক ঘণ্টা পর তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ঢামেক জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন হরিদাস সাহা।

মঙ্গলবার রাত সোয়া ১১টায় লোকমানকে মৃত ঘোষণা করে সার্জন বলেন, "তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় আনা হয়েছিল। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি।"

এর আগে রাত ১১টায় ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মুজাম্মেল হক  বলেন, "রাত ১০টা ৪০ মিনিটে চিকিৎসক বলেন, 'লোকমান মারা গেছেন'। তবে নিরাপত্তার কারণে তাকে মৃত ঘোষণা করা হচ্ছে না।"

মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে নরসিংদী শহরের আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে মুখোশধারীদের গুলিতে গুরুতর আহত হন লোকমান।

নরসিংদী শহর আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদক শ্রেষ্ঠ মেয়র হিসেবে দুইবার স্বর্ণপদক লাভ করেন।

এদিকে রাতে লোকমানের ওপর হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে কয়েক শত বিক্ষুব্ধ জনতা রাস্তায় নেমে আসে। এ সময় তারা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ ও গাড়ি ভাঙচুর করে।

নরসিংদী সদর মডেল থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন জানান, রাত ৮টায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে একদল মুখোশধারী তাকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়।

হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে কয়েক শত বিক্ষুব্ধ মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

লোকমান হত্যা: নরসিংদীতে হরতাল সাময়িক স্থগিত, ট্রেনে আগুন

নরসিংদী: নরসিংদী পৌরসভার মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন মঙ্গলবার নিহত হয়েছেন। তার বুকে-পেটে ও মাথায় অন্তত পাঁচটি গুলি লাগে।

মঙ্গলবার রাত সোয়া ১১টায়  ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. নাজমুল শাহীন, ডা. হরিদাস সাহা এবং জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফিরোজ আহমেদ তার মৃত্যুর খবর ঘোষণা করেন।

তার মৃত্যুর খবরে প্রায় ৭০০ নেতাকর্মী সেখানে ভিড় করেছে। নরসিংদীর সাংসদ নজরুল ইসলাম হিরুও  সেখানে অবস্থান করছেন।

শাহবাগ থানার ওসি রেজাউল করিম  নিরাপত্তার কারণে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

রাত ৮টার দিকে দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হন লোকমান হোসেনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নিহতের বোন সাজিয়া আফরিন রোজি বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমার ভাইয়ের কারো সঙ্গে শত্রুতা ছিলনা। কিন্তু কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটালো আমরা বুঝতে পারছি না। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে হত্যার বিচার চাই।’

এর আগে লোকমানকে নরসিংদী সদর হাসপাতালেও নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক ডা. মোঃ আবদুল্লাহ আল বাকী বাংলানিউজকে জানান, তার বুকের বামপাশে দুটি, পেটে দুটি এবং বামহাতে একটি গুলি লেগেছে।

নরসিংদী প্রতিনিধি জানান, জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে একটি দলীয় সভা করার সময় গুলিবিদ্ধ হন লোকমান। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয় বসাক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত খুব দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

তিনি জানান, মুখোশধারী ৭/৮ জনের দুর্বৃত্তদল তাকে এলোপাতাড়ি গুলি করে দ্রুত পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় নরসিংদী শহরে দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছে লোকজন। চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে শহরজুড়ে।

নরসিংদীতে মেয়র হত্যার প্রতিবাদে ডাকা হরতাল প্রত্যাহার



undefined
নরসিংদী: নরসিংদী পৌরসভার মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন হত্যার প্রতিবাদে ডাকা হরতাল প্রত্যাহার করা হয়েছে।

জেলা ছাত্রলীগের ডাকা ৭২ ঘণ্টার এ হরতাল বুধবার ভোর ৬টায় শুরুর সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রত্যাহার করে দলীয় নেতাকর্মীরা।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহা আলম বাংলানিউজকে জানান, বাদ আছর নরসিংদী স্টেডিয়াম মাঠে লোকমানের জানাজা হবে। এ কারণে হরতাল প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানাজা শেষে পরবর্তী কর্মসূচীর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয় বসাক জানান, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে একটি দলীয় সভা করার সময় মুখোশধারী ৭/৮ জনের দুর্বৃত্তদল লোকমান হোসেনকে এলোপাতাড়ি গুলি করে দ্রুত পালিয়ে যায়। এতে তিনি তার বুকে-পেটে ও মাথায় অন্তত পাঁচটি গুলি লাগে। এরপর দ্রুত তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ১১টার দিকে সেখানে চিকিৎধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

হরতাল চলাকালে নরসিংদী বাস টার্মিনাল থেকেও দূরপাল্লার বাস চলাচল করেনি। শহরের সড়কগুলোতে রিকশা ছাড়া অন্যকোন যানবাহন চলাচল করেনি। সকল দোকানপাট এমনকি খাবার হোটেল পর্যন্ত বন্ধ ছিল। তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। এছাড়া শহরে বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য এস এম কাইয়ুম  এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বুধবার ভোর থেকে ৭২ ঘণ্টার হরতাল ডাকা হয়েছিল।

এছাড়া বুধবার সকাল ১০টায় দলীয় কার্যালয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।

এর আগে মঙ্গলবার রাত ১১টার পর থেকে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা শহরে খণ্ড খণ্ড মিছিল বের করে।

নরসিংদী রেল স্টেশন মাস্টার মরণ চন্দ্র দাস জানানকয়েকশ মানুষ স্টেশনে এসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এসময় যাত্রীরা প্রাণ ভয়ে ছুটাছুটি করতে থাকে। বিক্ষুদ্ধ লোকজন রেলপথের উপর টায়ার দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম পথে রেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে বিক্ষুদ্ধ কর্মীরা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাত্তার হাজীর ভেলা নগরের বাড়িতে হামলা চালায়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নরসিংদী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, কয়েকশ’ নেতাকর্মীরা ভেলানগর বাসস্ট্যান্ডে দু’টি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে পুলিশ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এছাড়া সার্কিট হাউজ রোডে আগুন ধরিয়ে নেতাকর্মীরা অবরোধ করে বলে জানান তিনি।

তবে বর্তমানে নরসিংদী শহরে দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছে লোকজন। চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে শহরজুড়ে।

02 Nov 2011   12:19:52 PM   Wednesday BdST E-mail this

নিজ বাসভবনে লোকমান হোসেনের মৃতদেহ


রিয়াজ রায়হান ও মাখন দাস
undefined
নরসিংদী থেকে: দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে নিহত নরসিংদীর পৌর মেয়র লোকমান হোসেনের মৃতদেহ বুধবার দুপুরে তার নিজ বাসভবনে নেওয়া হয়েছে।

এদিন দুপুর ১২টার দিকে বাসাইল এলাকার নিজ বাসভবনে লোকমান হোসেনের মৃতদেহ নিয়ে আসা হয়। এরপর এখানে হাজার হাজার জনতা তাকে শেষবারের মতো দেখতে ভিড় করে। এসময় হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

পুরুষের পাশাপাশি শত শত নারী লোকমান হোসেনকে শেষবারের মতো দেখতে এসে সারবেধে দাঁড়িয়েছেন।

এদিকে, নরসিংদীর পৌর মেয়র লোকমান হোসেন নিহত হওয়ার ঘটনায় ডাকা টানা ৭২ ঘণ্টার হরতাল সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী এটা নিশ্চত করেছেন।

শহর ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মৃদুল সাহা জানান, নিহত লোকমান হোসেনের লাশ বাদ আসর দাফন করা হবে।

মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে অজ্ঞাতপরিচয় সন্ত্রাসীদের গুলিতে পৌর মেয়র লোকমান হোসেন মারাত্মক আহত হন। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর রাত সোয়া ১১টার দিকে তিনি মারা যান।

উত্তপ্ত নরসিংদী: ঘরমুখো মানুষ ভোগান্তিতে


ঢাকা: কম দোয়া-দোরুদ পড়ে ট্রেনে উঠিনি। ভালই ভালই ট্রেনের টিকিটটি পেয়েছি। অফিসের ছুটিও জোগাড় করেছি। এখন সকালে ট্রেনে উঠেই দোয়া কালাম শেষ করে যাত্রা শুরু করি।

কিন্তু এ কী বিপত্তি? ঢাকা থেকে নরসিংদী এসেই বাসাইলে কারা যেন ট্রেনেই আগুন ধরিয়ে দিল।

ছুটোছুটি-হুড়োহুড়ি প্রাণ নিয়ে বেরিয়ে পড়ার মাঝে মনে পড়ে গেল ইতিহাসে পড়া সেই ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের কথা। তখনও নাকি এরকম হতো। আন্দোলন সংগ্রাম টিকিয়ে রাখতে বিদ্রোহীরা কখনও লুটেছে ব্রিটিশদের কোষাগার আবার কখনও বা অস্ত্রাগার।

আর স্বাধীন দেশের স্ব-ভুমিতে এমনই লঙ্কা কাণ্ড দেখে কেউ ঠিক ঠাউরে উঠতে পারছে না এটা প্রতিবাদ আন্দোলনের নতুন রূপ নাকি নিজেদের ধ্বংস নিজেদের হাতেই সূচনা।

এর দায় ভার কে নেবে সরকার না বিরোধীদল না আমরা যারা অতি সাধারণ তারা?

এমনিই প্রশ্ন যখন কোন কোন যাত্রীর মনে ঘুরপাক খাচ্ছে তখন প্রাণ ভয়ে ছুটছে অন্য যাত্রীরা।

ট্রেনে আগুন দেওয়ার সময় মনে ছিল না এটা কিনতে কত টাকা লাগে, কত লোকসান পোহাবে সরকার, ওই ট্রেনে আমার আত্মীয় আছে, ট্রেনের অতিরিক্ত বগি না লাগালে যেতে পারতাম না বাড়িতে কত কত কথা।

এ ভাবনার রেশ টেনে লাভ নেই কারণ ছুটতে হচ্ছে প্রাণ নিয়ে। পাছে আগুনে পুড়ে মরে যাই, পাছে কোরবানির জন্য জমানো গরু কেনার টাকাটা লুট হয়ে যায়, পাছে বাড়ি যেতে না পারি, পাছে পরিবার-পরিজনের প্রিয় মুখ দেখতে না পারি।

কেউ ভাবছে প্রতিদিনের অনিশ্চয়তা আর শঙ্কা নিয়ে যেভাবে দিনাতিপাত করছি সেখানে এ ঘটনাতো নস্যি মাত্র।

তাই ঘরমুখো মানুষগুলো যে কষ্ট করে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কেটেছে, যে মানুষগুলো অফিসে বসের বিরাগভাজন হয়ে আগেভাগেই ছুটি নিয়েছে, কিংবা যারা ছুটি না পেয়ে পরিজনদের আগেভাগেই বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছে তারা এখন ছুটছে। কেউ হাঁটছে, কেউ আতঙ্কে ফেলে আসা ব্যাগটার কথা মনে করে ভাবছে বেঁচে আছি এটাই যথেষ্ট।  

এমনিই অনিশ্চয়তা অধিক সংখ্যক মানুষকে ঠেলে দিয়েছে নির্বাকের পথে। তাই তারা মাথা নিচু করে বাড়ির পথ ধরেছে পায়ে হেঁটে। আর সরবরা সংখ্যায় কম থাকলেও অন্যায় তারা করছে প্রকাশ্যে। যেন এটাই সত্য।

মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে নরসিংদীতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে লোকমান হোসেন আহত হন। নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তির পর অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনার পর বুধবার থেকে জেলা ছাত্রলীগের ডাকে ৭২ ঘণ্টার হরতাল শুরু হয়েছে।

এরপরে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ যাত্রীবাহী জনপ্রিয় ট্রেন সার্ভিস এগারোসিন্দুরের কয়েকটি বগিতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। মেয়রের বাসার কাছাকাছি বাসাইল নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এরপরই ঘরে ফেরা মানুষ পায়ে হেঁটে যাচ্ছে গন্তব্য। পড়েছে চরম বিপাকে-ভোগান্তিতে।

কথা হচ্ছিলো নরসিংদী প্রতিনিধি মাখন দাশের সঙ্গে। তিনি জানালেন নরসিংদী এখন উত্তপ্ত। এখানে কোনো কথাই যেনো  কেউ শুনছে না। লোকমান হোসেনের মরদেহ নরসিংদী নেওয়া হবে, তার জানাযা ও দাফন হবে এ জন্য হরতালকারীরা ৬ ঘণ্টা হরতাল স্থগিত করেছে। কিন্তু তাতেও সেখানে গাড়ি-ঘোড়া চলা শুরু হয়নি। চলছে না ট্রেন। ওই পথে চট্টগ্রাম ও সিলেট যেতে যারা অন্য ট্রেনের যাত্রী হয়েছেন সকালবেলা তারাও আটকে আছেন ট্রেন স্টেশনে কারণ পুড়িয়ে দেওয়া ট্রেন সরালেই কেবল অন্য ট্রেন চলবে। আর উত্তপ্ত নরসিংদীর ওপর দিয়ে এ সময়ে ট্রেন আদৌ চলার উদ্যোগ নেবে কীনা সেটিও প্রশ্ন। 

খায়রুল কবীর খোকনকে গভীর রাতে আটক

স্টাফ রির্পোটার (নভেম্বর ০২,বুধবার,ঢাকা)- মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা লোকমান হোসেন নিহত হওয়ার পাঁচ ঘণ্টার মাথায় নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি ও দলটির কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবীর খোকনকে আটক করেছে পুলিশ।

খোকনের স্ত্রী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা  বলেন, "মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশ আমাদের খিলগাঁও মাটির মসজিদের বাসা থেকে খোকনকে নিয়ে গেছে। তবে তারা এর কোনো কারণ বলেনি।"


মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা খোকনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাকে বেইলি রোডে গোয়েন্দা সদর দপ্তরে রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

এদিকে খোকনকে আটকের ঘটনায় নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সকাল সাড়ে ১০টায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি।

মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে নরসিংদী শহরের সদর রোডে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে মুখোশধারীদের গুলিতে গুরুতর আহত হন লোকমান। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা রাতে নরসিংদী সার্কিট হাউস এবং রেল স্টেশনে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।