বাংলাদেশে
এখন ১৬ লাখের বেশি মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করেন। ফেসবুকের খুঁটিনাটি জানা
ব্যবহারকারীর জন্য জরুরি। কারণ, একদিকে আরও বেশি কার্যকরভাবে ফেসবুক
ব্যবহার করা যাবে, আবার নিজের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার দিকটাও
দেখতে হবে। ফেসবুকের খুঁটিনাটি নিয়েই এ আয়োজন।
নাম পরিবর্তন
ফেসবুকে
নাম ও অ্যাকাউন্টের বিভিন্ন তথ্য পরিবর্তন করা যায়। এ জন্য প্রথমে
www.facebook.com ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজের অ্যাকাউন্টে ঢুকতে হবে।ওপরে ডান
পাশে Account থেকে Account Settings-এ ক্লিক করুন। এখন Name-এর ডান পাশের
Edit-এ ক্লিক করে নতুন নাম লিখে Save Changes-এ ক্লিক করুন। ব্যবহারকারীর নাম যুক্ত করা
অনেকেই
ফেসবুকে আলাদা একটা নাম (ইউজারনেম) ব্যবহার করে থাকেন। ইউজারনেম ব্যবহার
করলে ফেসবুকে কাউকে সহজেই খুঁজে পাওয়া যায় এবং নিজের একটি আলাদা ফেসবুক
ঠিকানা (লিংক) হয়। ফেসবুকে ঢোকার (লগ-ইন) সময় ই-মেইল ঠিকানার পরিবর্তে এই
ইউজারনেম ব্যবহার করা যায়। ইউজারনেম যোগ করার জন্য প্রথমে Account/Account
Settings-এ ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে সেখান থেকে Username-এর ডান পাশের
Edit-এ ক্লিক করুন। Username বক্সে কোনো নাম লিখুন (কমপক্ষে পাঁচটি
বর্ণের)। নামটি ফাঁকা থাকলে Save Changes-এ ক্লিক করুন। আর ফাঁকা না থাকলে
অন্য নাম দিয়ে আবার চেষ্টা করুন। ধরুন, আপনি ইউজারনেম নির্বাচন করেছেন
ARSUST, তাহলে আপনার ফেসবুকের ঠিকানা হবে http://www.facebook.com/ARSUST.
ই-মেইল ঠিকানা বদলানো
ফেসবুকে
ই-মেইল ঠিকানা বদলের জন্য Account Settings-এ যেতে হবে।এখন Email-এর ডান
পাশের Edit-এ ক্লিক করুন। এখন Add another email-এ ক্লিক করুন। New Email :
বক্সে নতুন ই-মেইল ঠিকানা লিখে Save Changes-এ ক্লিক করুন। তখন ফেসবুক
পাসওয়ার্ড চাইলে পাসওয়ার্ড লিখে Save Changes-এ ক্লিক করুন। এখন আপনার নতুন
ই-মেইল ঠিকানায় একটি মেইল যাবে। ওই মেইলে ক্লিক করলেই ফেসবুকে নতুন ই-মেইল
ঠিকানাটা যোগ হবে। এখন আপনি দুটি ই-মেইল ঠিকানার যেকোনো একটি দিয়েই
ফেসবুকে ঢুকতে পারবেন।
পাসওয়ার্ড পরিবর্তন
ফেসবুকে পাসওয়ার্ড
পরিবর্তন করার জন্য প্রথমে ওপরে ডান পাশে Account থেকে Account Settings-এ
ক্লিক করুন। এখন Password-এর ডান পাশের Edit-এ ক্লিক করে আগের পাসওয়ার্ড
এবং দুবার নতুন পাসওয়ার্ড লিখে Save Changes-এ ক্লিক করুন। পাসওয়ার্ড লেখার
সময় বর্ণ ও সংখ্যার মিশ্রণ থাকলে ভালো হয়।
নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হওয়া
ফেসবুকে
অনেকের নামের পাশে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম দেখা যায়, আবার অনেকের দেখা
যায় না। এগুলো হচ্ছে একেকটা নেটওয়ার্ক। কেউ যদি তাঁর নামের পাশে কোনো
নেটওয়ার্ক যুক্ত করতে চান, তাহলে ওপরে ডান পাশে Account থেকে Account
Settings-এ ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে সেখান থেকে Networks-এর ডান পাশে
Edit-এ ক্লিক করুন। এখন Join another Network-এ ক্লিক করে Network name
বক্সে কোনো নাম লিখে Save Changes-এ ক্লিক করুন। এভাবে আপনি একাধিক
নেটওয়ার্কের সঙ্গেও যুক্ত হতে পারবেন।
ফেসবুকে অন্য অ্যাকাউন্ট
ফেসবুকে
আপনার প্রোফাইলে ইয়াহু, জিমেইল, মাইস্পেস ইত্যাদির ঠিকানা যোগ করতে পারেন।
এ জন্য লিংকড অ্যাকাউন্টসের ডান পাশের Edit-এ ক্লিক করে অন্য
অ্যাকাউন্টগুলোর ঠিকানা লিখে দিলেই চলবে।
ফেসবুক বাংলায়
ফেসবুকের
সব লেখা ইংরেজিতে। তবে আশার কথা, চাইলে ফেসবুকের সব লেখা বাংলায় পরিবর্তন
করতে পারেন। এ জন্য প্রথমে ওপরে ডান পাশে Account থেকে Account Settings-এ
ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে নিচে থেকে Language-এর ডান পাশে Edit-এ ক্লিক
করুন। এখন Choose Primary-তে English (US)-এর পরিবর্তে বাংলা সিলেক্ট করে
Save Changes-এ ক্লিক করুন। দেখবেন সব ফেসবুক বাংলা হয়ে গেছে। আবার ইংরেজি
করতে চাইলে একই পদ্ধতিতে বাংলার পরিবর্তে English (US) সিলেক্ট করে Save
Changes-এ ক্লিক করুন।
রেখে দিন দরকারি জিনিস
অজকাল প্রায়ই
ই-মেইল ঠিকানা, ফেসবুক অ্যাকাউন্ট চুরি (হ্যাকড) হওয়ার কথা শোনা যায়। আপনি
হয়তো অনেক দিন ধরে ফেসবুক ব্যবহার করেন। ফেসবুকে আপনার অনেক গুরুত্বপূর্ণ
ছবি, তথ্য ও আপনার অনেক বন্ধু আছে। কিন্তু আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট যদি
চুরি হয়ে যায় বা কোনো কারণে নিষ্ক্রিয় (ডিজেবল) হয়ে যায়, তখন সবকিছুই
হারিয়ে যাবে। ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং বা ডিজেবল হলেও যাতে কোনো তথ্য
হারাতে না হয়, এ জন্য ফেসবুকের ব্যাকআপ রাখতে পারেন। ফেসবুকের ব্যাকআপ
রাখার জন্য প্রথমে ওপরে ডান পাশের Account থেকে Account Settings-এ ক্লিক
করুন। এখন সবার নিচে Download a copy-এ ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে Start My
Archive-এ ক্লিক করুন। এখন আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের একটি ব্যাকআপ
প্রোফাইল তৈরি হতে থাকবে। ব্যাকআপ প্রোফাইল তৈরি হয়ে গেলে আপনার ই-মেইল
ঠিকানায় একটি মেইল যাবে। তারপর আবার Account থেকে Account Settings-এ ক্লিক
করে Download a copy-এ ক্লিক করে আপনার ফেসবুকের ব্যাকআপ প্রোফাইলটি
ডাউনলোড করতে পারবেন।
ডাউনলোড হওয়ার পর জিপ ফাইলটি আনজিপ করুন। এখন
index ফাইলটি ওপেন করলে আপনি আপনার ফেসবুকের পুরো প্রোফাইল (ছবি, ওয়াল,
মেসেজ, ফ্রেন্ড) দেখতে পারবেন।
অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা
আপনি যদি আর
ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে না চান, তাহলে Account থেকে Account
Settings-এ ক্লিক করুন। এখন বাঁ পাশ থেকে security-তে ক্লিক করুন। এখন সবার
নিচে Deactivate your Account-এ ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে দেখবেন, সেখানে
লেখা আছে, আপনি কেন আপনার অ্যাকাউন্টটি নিষ্ক্রিয় (deactivate) করতে চান।
অনেকগুলো অপশন থেকে যেকোনো একটি নির্বাচন করে Confirm-এ ক্লিক করুন।
পাসওয়ার্ড চাইলে পাসওয়ার্ড এবং নিরাপত্তা সংকেত (সিকিউরিটি কোড) চাইলে সেই
কোড দিয়ে ok করুন। পুনরায় চালু (Activate) করতে চাইলে শুধু login করলেই
আবার অ্যাকাউন্টটি activate হয়ে যাবে।
একেবারে স্থায়ীভাবে ফেসবুক
অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে চাইলে
https://www.facebook.com/help/contact.php?show_form=delete_account
ঠিকানার ওয়েবসাইট থেকে বন্ধ করে দিতে পারবেন।
ই-মেইলে খবর আসা বন্ধ করা
ফেসবুকের
সব খবর ই-মেইলেচলে আসে। আপনার কাছে Add Request, message বা আপনার wall-এ
কিছু লেখে বা আপনার কোনো লেখা বা ছবিতে Comments করে, তাহলে তা আবার
ই-মেইলের মাধ্যমে আপনাকে জানানো হয়। এতে দেখা যায়, প্রতিদিন ফেসবুক থেকে
অসংখ্য ই-মেইল আসে, যা অনেক সময় বিরক্তিকর।
এটি থেকে মুক্তি পেতে হলে
প্রথমে ওপরে ডান পাশে Account থেকে Account Settings-এ ক্লিক করুন। নতুন যে
পেজটি আসবে, সেটির বাঁ পাশ থেকে Notifications-এ ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে
ওই পেজের মধ্যে All Notifications-এর ডান পাশে দেখুন বেশ কয়েকটি Edit লেখা
অপশন আছে। একটি একটি করে সেখানকার সব কটি Edit-এ ক্লিক করে সব কটি বক্স
থেকে সব কটি টিক চিহ্ন তুলে দিয়ে Save Changes-এ ক্লিক করুন।
ব্যক্তিগত গোপনীয়তা
কেউ
যদি ফেসবুকে আপনাকে বিরক্ত করে, যেমন—বারবার বার্তা পাঠায়, বারবার Add
Request পাঠায়, তাহলে আপনি তাকে ব্লক করে দিতে পারেন। ব্লক করে দিলে সে আর
আপনাকে খুঁজে পাবে না। কাউকে ব্লক করতে হলে প্রথমে ওপরে ডান পাশে Account
থেকে Privacy Settings-এ ক্লিক করুন। এখন একেবারে নিচে Block Lists-এর নিচে
Edit your list-এ ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে Name অথবা Email বক্সে কারও
নাম বা ই-মেইল আইডি লিখে Block-এ ক্লিক করে তাকে ব্লক করে দিতে পারেন। অথবা
কারও প্রোফাইলের নিচের দিকে বাঁ পাশে Block-এ ক্লিক করেও কাউকে ব্লক করে
দিতে পারেন।
প্রোগ্রাম গোছানো
আপনি কী কী প্রোগ্রাম
ইনস্টলকরেছেন, সেসব দেখতে চাইলে ওপরে ডান পাশে Account থেকে Privacy
Settings-এ ক্লিক করুন। এখন একেবারে নিচে Apps and Websites-এর নিচে Edit
your Settings-এ ক্লিক করুন।
নতুন পেজ এলে দেখতে পাবেন আপনি কী কী প্রোগ্রাম ব্যবহার করছেন। কোনোটি বাদ দিতে চাইলে পাশের কাটা চিহ্নে ক্লিক করে বাদ দিতে পারেন।
কতটা দৃশ্যমান হবেন
আপনাকে
আপনার বন্ধুরা ছাড়া অন্য কেউ খুঁজে (সার্চ) পাবে না। এমনকি আপনার ই-মেইল
ঠিকানা দিয়ে খুঁজলেও না।এমন ব্যবস্থা করতে চাইলে Account থেকে Privacy
Settings-এ ক্লিক করুন। এখন ওপরে View settings-এ ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে
Search for you on Facebook-এর ডান পাশের Everyone বাটনে ক্লিক করে Only
Friends নির্বাচন করে দিন। তাহলে আপনাকে আপনার বন্ধুরা ব্যতীত অন্য কেউ
খুঁজে পাবে না। এখন Send you friend requests-এর ডান পাশের Everyone বাটনে
ক্লিক করে নির্বাচন করে দিন, তখন যে কেউ আপনাকে friend requests পাঠাতে
পারবে।
Send you messages-এর ডান পাশের Everyone বাটনে ক্লিক করে নির্বাচন করে দিন, যে কেউ আপনাকে মেসেজ পাঠাতে পারবে।
See
your friendlist-এর ডান পাশের Everyone বাটনে ক্লিক করে নির্বাচন করে দিন,
তাহলে সবাই আপনার ফ্রেন্ডলিস্ট দেখতে পারবে। এভাবে বাকি সেটিংসগুলোও নিজের
মতো করে তৈরি করে নিতে পারেন।
নিজের ইচ্ছামতো
আপনি আপনার ওয়ালে
কোনো কিছু লিখলে বা পোস্ট করলে সেটা কে কে বা কারা দেখবে, সেটা ঠিক করে
দিতে পারেন।Privacy Settings-এ গিয়ে নিচে থেকে Customize settings-এ ক্লিক
করুন। এখন Posts by me-এর ডান পাশের Everyone বাটনে ক্লিক করে ঠিক করে দিন।
কাস্টমাইজও নির্বাচন করতে পারেন।
কাস্টমাইজ নির্বাচন করলে নতুন একটি
উইন্ডো আসবে। এখন Make this visible to বক্সে ক্লিক করে Specific People
নির্বাচন করলে যাঁরা আপনার ওয়ালের পোস্ট দেখতে পারবেন, তাঁদের নাম লিখে
Save Satting-এ ক্লিক করুন (Only Me নির্বাচন করলে শুধু আপনি দেখবেন, আর
কেউ দেখতে পারবে না)। যদি কিছু নির্দিষ্ট বন্ধু ছাড়া বাকি সবাই দেখতে
পারবে, এমন সেটিংস করতে চান, তাহলে Hide this from বক্সে তাঁদের নাম লিখে
Save Satting-এ ক্লিক করুন। এভাবে নিচের বাকি সব কটি ঠিক করতে পারবেন।
প্রোফাইল ফটো বা ছবির অ্যালবাম কে কে বা কারা দেখবে, সেটা ঠিক করার জন্য
Customize settings-এ যান।এখন আপনার ছবির অ্যালবামের সেটিংস কাস্টমাইজ করার
জন্য ওই পেজের মধ্যখানে Edit album privacy-তে ক্লিক করুন। এখন যে
অ্যালবামটির কাস্টমাইজ সেটিংস তৈরি করতে চান, সেই অ্যালবামটির নামের নিচের
বাটনে ক্লিক করে কাস্টমাইজ নির্বাচন করুন। এখন Make this visible to বক্সে
ক্লিক করে Specific People নির্বাচন করে যাঁদের সঙ্গে অ্যালবামটি শেয়ার
করতে চান, তাঁদের নাম লিখে Save Satting-এ ক্লিক করুন।
যদি কিছু
নির্দিষ্ট বন্ধু ছাড়া বাকি সবার সঙ্গে শেয়ার করতে চান, তাহলে Hide this
from বক্সে তাঁদের নাম লিখে Save Satting-এ ক্লিক করুন। আপনাকে ট্যাগ করা
ছবি বা ভিডিওটি আপনি ছাড়া আর কেউ দেখবে না। এমন ব্যবস্থা করতে হলে
Customize settings পেজের মাঝখানে Photos and videos you’re tagged in-এর
ডান পাশে Edit settings-এ ক্লিক করে Who can see photos and videos I’m
tagged in-এর ডান পাশে ক্লিক করে Customize নির্বাচন করে Make this visible
to বক্সে ক্লিক করে Only Me নির্বাচন করে Save Satting-এ ক্লিক করুন।
যাঁরা আপনার বন্ধু নয়, তাঁদের কাছে আপনার ফেসবুক প্রোফাইলটি দেখতে কেমন
দেখায়, সেটি দেখতে চাইলে সবার ওপরে ডান পাশে Preview My Profile-এ ক্লিক
করুন।
হেল্প সেন্টার
ফেসবুক কিছুদিন পর পর তার সেটিংস পরিবর্তন
করে। তা ছাড়া ফেসবুক কিছুদিন পর পরই নতুন নতুন অপশনও যোগ করে। কোনো একটা
অপশন কোথায় আছে, তা ভুলে গেলে বা জানা না থাকলে ফেসবুক হেল্প সেন্টারের
সাহায্য নেওয়া যায়। যেমন—আপনি যদি ভুল করে কোনো বন্ধুকে হাইট করে ফেলেন,
তাহলে তাঁকে আবার আন-হাইট করবেন কীভাবে বা কোনো বন্ধুকে হাইট করবেন কীভাবে?
এর উত্তর যদি জানা না থাকে, তাহলে এ জন্য প্রথমে ওপরে ডান পাশে Account
থেকে Help Center-এ ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে How i unhide a friend? লিখে
সার্চ করুন। রেজাল্ট এলে Expand All-এ ক্লিক করুন। আপনার সমাধান পেয়ে
যাবেন।
অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা
আপনার ফেসবুকের ই-মেইল ঠিকানা,
পাসওয়ার্ড যদি সবাই জেনে যায়, তাহলেও কেউ আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে
পারবে না। এ জন্য প্রথমে ফেসবুকে লগইন করে ওপরে ডান পাশের Account থেকে
Account Settings-এ ক্লিক করুন। এখন বাঁ পাশ থেকে security-তে ক্লিক করুন।
নতুন পেজ এলে Login Notifications-এর ডান পাশে Edit-এ ক্লিক করুন। Email-এর
পাশের বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Save Changes-এ ক্লিক করুন। এখন Login
Approvals-এর ডান পাশে Edit-এ ক্লিক করে Require me to enter a security
code sent to my phone বক্সে টিক চিহ্ন দেওয়ার সময় নতুন বার্তা এলে Set Up
Now-এ ক্লিক করুন। এখন Phone number : বক্সে আপনার মোবাইল নম্বর লিখে
Continue-তে ক্লিক করুন। আপনার মোবাইলে একটি কোড নম্বর আসবে। কোড নম্বরটি
কোড বক্সে লিখে Continue-তে ক্লিক করুন। তারপর Save Changes-এ ক্লিক করুন।
এখন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লগআউট করে পুনরায় ফেসবুকে লগইন করুন। দেখবেন, Name
New Computer নামের একটি পেজ এসেছে। সেখানে Computer name বক্সে কোনো নাম
লিখে Add to your list of recognized devices বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে
Continue-তে ক্লিক করুন।
এখন থেকে প্রতিবার আপনার কম্পিউটার ব্যতীত অন্য
কারও কম্পিউটার থেকে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লগইন করতে চাইলে আপনার
মোবাইলে একটি কোড নম্বর আসবে এবং সেই কোড নম্বরটি কোড বক্সে লিখে
Continue-তে ক্লিক করলেই কেবল আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা যাবে।
কাজেই আপনার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড সবাই জানলেও কেউ আপনার ফেসবুকে লগইন করতে
পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনার মোবাইলে আসা কোড নম্বরটি কোড বক্সে
প্রবেশ করানো হবে। আপনার ই-মেইলে একটি মেইল যাবে, যেটাতে লেখা থাকবে কে,
কখন, কী নাম দিয়ে, কোন আইপি ঠিকানা থেকে আপনার ফেসবুকে প্রবেশ করেছিল।
মোবাইল নম্বর যোগ করা
ফেসবুকে
মোবাইল ফোন নম্বর যোগ করলে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট যদি কখনো চুরি হয়ে
যায়, তাহলে মোবাইল নম্বর দিয়ে তা উদ্ধার করতে পারবেন। আবার আপনি ইচ্ছা করলে
ফেসবুকের খবর বা নোটিফিকেশনসগুলোও মোবাইল ফোনে পেতে পারেন বিনা মূল্যে। এ
জন্য প্রথমে ওপরে ডান পাশের Account থেকে Account Settings-এ গিয়ে বাঁ পাশ
থেকে Mobile-এ ক্লিক করুন। এখন Add a Phone লিংকে ক্লিক করুন। নতুন উইন্ডো
এলে Mobile Carrier : এ বাংলালিংক, সিটিসেল, গ্রামীণফোন, এয়ারটেল বা রবি
নির্বাচন করে Next-এ ক্লিক করুন। আপনার মোবাইল নম্বরটি আপনার ফেসবুক
প্রোফাইলে যোগ করতে না চাইলে Add this phone number to my profile বক্স
থেকে টিক চিহ্নটি তুলে দিন। আপনার মোবাইল থেকে F লিখে 32665-এ মেসেজ দিন।
ফিরতি মেসেজে আপনার কাছে একটি কোড নম্বর আসবে, সেটি কোড বক্সে লিখে Next-এ
ক্লিক করুন।
প্রোফাইল সেটিংস
আপনার Profile-এ ক্লিক করে ওপরে
আপনার নামের নিচে Edit Profile-এ ক্লিক করে বাঁ পাশ থেকে Basic
Information, Profile picture, Friends and Family, Education and work,
Contact Information ইত্যাদিতে ক্লিক করে মনের মতো করে তথ্য যোগ করতে
পারেন।
লেখক: কম্পিউটার প্রকৌশলী
বিদ্যুৎহীন ইপেপার আই২আর
প্রযুক্তির
উদ্ভাবনে তাইওয়ান সব সময়ই চমক দেখিয়েছে। এবারও পরিবেশবান্ধব রিরাইটেবল
কাগজ উদ্ভাবন করেছে দেশটির একদরযুক্তির উদ্ভাবনে তাইওয়ান সব সময়ই চমক
দেখিয়েছে। এবারও পরিবেশবান্ধব
রিরাইটেবল কাগজ উদ্ভাবন করেছে তাইওয়ানের একদল গবেষক। সংবাদমাধ্যম সূত্র এ
তথ্য জানিয়েছে।
ইবুক প্রযুক্তির প্রতি যাদের অনীহা তাদের জন্য এ
ইলেকট্রনিক পেপার দারুণ সেবা দিতে প্রস্তুত। উল্লেখ্য, নামে ইলেকট্রনিক
পেপার হলেও এটি ব্যবহারে কোনো বিদ্যুৎ খরচ হয় না। এ বৈপ্লবিক ডিজিটাল
পণ্যের নাম ‘আই২আর ই-পেপার’
তাইওয়ানভিত্তিক প্রযুক্তি নির্মাণ
প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ফ্র্যাঙ্ক জানান, এটি পরিচালনায় শুধু
তাপশক্তির প্রয়োজন হয়। এ বিশেষ ধরনের কাগজ থেকে সরাসরি ফ্যাক্সও করা
সম্ভব।এ প্রযুক্তি ডিজিটাল বুক, ইলেকট্রনিক বুলেটিন বোর্ড এবং বড়
ধরনের ডিজিটাল সম্পাদনায় ব্যবহারযোগ্য। উদ্ভাবক সূত্র জানিয়েছে, এ ধরনের
একটি পেপার একটানা সর্বোচ্চ ২৬০টি পেপার সম্পাদনা করতে পারে। এর ফলে
বিশ্বব্যাপী প্রকৃতিবান্ধব গাছ আর কাগুজে পৃষ্ঠার বহুমাত্রিক ব্যবহার এবং
অপচয় কমে আসবে।উদ্ভাবক সূত্র জানিয়েছে, আগামী দু থেকে এক বছরের
মধ্যে এ প্রযুক্তির ইলেকট্রনিক পেপার বাণিজ্যিকভাবে বিশ্ববাজারে উন্মুক্ত
হবে। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের ভাষ্যমতে, পরিবেশবান্ধব ইপৃথিবী গড়তে এ
প্রযুক্তি অনবদ্য ভূমিকা রাখবে।
ল গবেষক।
মোবাইলে ফেসবুক মেসেজ অ্যাপলিকেশন
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক চালু করল মোবাইলভিত্তিক নতুন অ্যাপলিকেশন।
যেটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের কাছে সাধারনভাবে মেসঞ্জার নামেই পরিচিত। ফলে
এ সেবা আওতার মোবাইল ব্যবহারকারীরা পাচ্ছে তাদের ফেসবুক বন্ধুদের সঙ্গে
চ্যাট করার দ্রুততম একটি মাধ্যম।
সূত্র মতে, ব্যবহারকারীরা অনায়াসে এ
সেবা ব্যবহারের সুযোগ পাবে। কিন্তু এজন্য কিছু নিতীমালা রয়েছে।
ব্যবহারকারীকে অবশ্যই তার মোবাইল নম্বর এই সোশ্যাল জায়েন্টের সঙ্গে নিবন্ধন
করতে হবে। তাছাড়া পাঠানো মেসেজ বাধাপ্রাপ্ত হবে।
উল্লেখ্য,
অ্যাপলিকেশনটি ইন্সটলের সময় ব্যবহারকারীর থেকে জানতে চাইবে যে ফেসবুকের
সঙ্গে মোবাইল নম্বরটি নিবন্ধীত কিনা। কোনোভাবে এর কার্যক্রম যদি সম্পন্ন না
হয় তবে সঠিক পদ্ধতিতে মেসেজিং করার অনুমতি পাবেনা ব্যবহারকারী। কিন্তু
ব্যবহারকারীর অনলাইন চ্যাট সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য এর অ্যাপলিকেশন
ইন্টারফেসে প্রতিফলন ঘটাবে। অ্যাপলিকেশনটি প্রকৃতপক্ষে ফেসবুকের কার্যকরী
সুশৃঙ্খল একটি সংস্করণ। যেটা একটা উদ্দেশ্যেই অর্থাৎ ব্যবহারকারীকে তার
বন্ধুর নিকট মেসেজ প্রেরণে সহায়তা করে। সেবাটি সম্পর্কে সূত্র আরও
জানিয়েছে, এর লক্ষ্য যথাপযুক্ত এবং লোকেশন সেবা সমর্থিত। তাই এটি
ব্যবহারকারীকে তার ফোনের জিপিএস মাধ্যমে তার বর্তমান অবস্থান জানাতে সক্ষম।
এফবি চলতি বছরে মেসেজিং কোম্পানি বেলুগা ক্রয় করেন। বেলুগা তার
গ্রুপ মেসেজিং সেবার জন্য বিখ্যাত। তাই অনুমান হিসেবে ফেসবুক এর প্রসার
ঘটাতে হঠাৎ করেই সেবাটি চালু করেছে। এফবি মেসেজ অ্যাপলিকেশন পাওয়া যাবে
অ্যান্ড্রুয়েড ও আইফোন পণ্যে।
ফেস রিকগনিশন কোম্পানি এখন সার্চ
গুরু গুগলের। পিটপাট নামের এ কোম্পানির মালিকানা বেশ চুপিসারেই করে নিল
গুগল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রযুক্তির পরিপূর্ণতা আনতে গুগলের এই
পচেষ্টা বলে ধারণা করা যাচ্ছে। পিটপাট এর খ্যাতির পেছনে রয়েছে ফেস রিকগনিশন
প্রযুক্তি। ২০০৪ সালে কার্নেজিয়া মেলন ইউনিভার্সিটির একজন পিএইচডি
ডিগ্রিধারী ১০ বছর গবেষণার পর এটি প্রতিষ্ঠা করেন। যার উদ্দেশ্য ছিল
অবজেক্ট রিকগনিশন এর গুণগত মানবৃদ্ধি ।
প্রতিবেদনে প্রকাশ হয়েছে
অনেক যাচাই বাছাই করার পর গুগলের এ অর্জন। পিটপ্যাট সফটওয়্যার ফেসবুক
ব্যবহারকারীর প্রোফাইলের ছবি মিল করে এছাড়া নাম, জন্ম তারিখ এবং ব্যক্তি
সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে। আর এ বিষয়গুলোর ৩৩ ভাগ পরীক্ষা
নিরীক্ষার পরে গবেষকরা এসব তথ্য কাজে লাগায়। বিষয়ভিত্তিতে সোশ্যাল
সিকিউরিটি নাম্বারের প্রথম ৫টি ডিজিট সঠিকভাবে অনুমান করে। এরপর এটা বড়
সংখ্যা থেকে পরিপূর্ণ একটি সংখ্যা শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
খুব সম্ভবত গুগল এই প্রযুক্তির প্রকাশ ঘটাবে তার গুগল প্লাস সোশ্যাল
নেটওয়ার্কে। যেখানে এ প্রযুক্তি ফটো ট্যাগিং এ ব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে
ঠিক ফেসবুক পদ্ধতির মতো। তাই অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সদস্যরা
আরেকটি এফবি নিয়ে মতামত করার সুযোগ পাচ্ছে। খুব শীঘ্রই এটি পাওয়া যাবে।
তাই যারা ব্যক্তিগত তথ্য যেমন জন্ম তারিখের মতো গোপনীয় বিষয়টি সবাইকে জানাতে অসম্মতি করছেন তাদের সজাগ থাকাটাই বাঞ্জনীয়।
|
11 Aug 2011 01:11:11 PM Thursday BdST |
|
|
ফেসবুকের ডিজিটাল বুক ফার্ম
|
সম্প্রতি ‘পুশ পপ প্রেস’ নামের
ডিজিটাল বুক পাবলিশিং ফার্ম ক্রয় করেছে ফেসবুক। তাই অনেকটা দৃঢ়ভাবেই ফেসবুক
তার এ অর্জন সম্পর্কে জানান দিয়েছে। কিন্তু এটি নিয়ে বর্তমানে চলছে
বিভিন্ন সমালোচনা। কারণ ফেসবুকের পক্ষে একে বিশ্বের বৃহৎ ডিজিটাল বুক
ভান্ডার হিসেবে গড়া সম্ভব হবে কিনা।
অ্যাপলের সাবেক দুই কর্মচারী
কিমন টিসিনটেরিস এবং মাইক মেটাস এর সূচনা করে। তারা মূলত আইপ্যাড এবং
আইফোনে সহজ পদ্ধতিতে ডিজিটাল বুক প্রচার শুরু করেছিল।
এদিকে
ফেসবুকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা খুবই আনন্দিত সেইসঙ্গে নিশ্চিত করছি
‘পুশ-পপ প্রেস’ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। এর সফটওয়্যারের মূলভিত্তির পুন:গঠন
শুরু হয়েছে। পরিবর্তিত এ মাধ্যমে অনলাইন ব্যবহারকারীরা প্রচার এবং ডিজিটাল
উপাদান উপভোগ করতে পারবে।
তারা আরও জানিয়েছেন, এটি শুরুর জন্য সহকারী-প্রতিষ্ঠাতাদের জন্য অপেক্ষা
করতে পারিনা। উল্লেখ্য, পুশ-পপ প্রেসে কিছু প্রযুক্তি, আইডিয়া এবং
অনুপ্রেরণা যুক্ত হয়েছে। ফলে লক্ষাধিক ব্যবহারকারীরা কিভাবে ফেসবুকে একে
অন্যের সঙ্গে সংযোগ এবং শেয়ার করতে পারবে তার সমাধান মিলবে।
এছাড়া
বুক পদ্ধতিতে কোনো ব্যবসায়িক পরিকল্পনা নেই বলে সাফ জানিয়েছেন ফেসবুক। ‘পুশ
পপ প্রেস’ এ পর্যন্ত অনেক প্রশংসা অর্জন করেছেন। যার মধ্যে আছে অ্যাপলের
অ্যাপলিকেশন ডিজাইনের জন্য ‘২০১১ ডিজাইন এওয়ার্ড’। আর তাই এফবি সেই
দৃষ্টিকোণ থেকে পুশ পপ এর সুবিধা বেশ কিছু মাধ্যমে ব্যবহার করবে বলে ধারণা
করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্ব জনসংখ্যার তিনগুণ ওয়েব পৃষ্ঠা!
ইন্টারনেট সৃষ্টির ২০ বছর পেরিয়ে গেছে। এ মুহূর্তে বিশ্বব্যাপী ১ হাজার ৯৬৮
কোটি ওয়েব পৃষ্ঠা বিদ্যমান। ইতিহাসে এ যাত্রা শুরু হয় ১৯৯১ সালের ৬ আগস্ট।
সংবাদমাধ্যম সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
বিশ্বব্যাপী উন্মুক্ত তথ্য
আদান-প্রদানের উদ্দেশ্যে এ প্রকল্প নিয়ে ভাবতে শুরু করেন বিজ্ঞানী টিম
বার্নাস লি। একদল গবেষক তাদের জ্ঞানতথ্য বিনিময়ে এ প্রকল্পের গুরুত্ব অনুভব
করেন।
এ উদ্দেশ্য থেকেই ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (WWW) বিশ্বের সূচনা।
উল্লেখ্য, (http://info.cern.ch/hypertext/WWW/TheProject.html) এ ঠিকানায়
বিশ্বের প্রথম ওয়েব পৃষ্ঠার শুভারম্ভ হয়। এ ওয়েব পৃষ্ঠা সংখ্যা এখন প্রায় ২
হাজার কোটির কাছাকাছি।
লন্ডনে জন্ম নেওয়া বিজ্ঞানী টিম বার্নাস লি
ইউরোপের জেনেভায় অবস্থিত অর্গেনাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ (সার্ন)
গবেষণারত অবস্থায় ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেন।
১৯৮৯
সালে প্রথম তিনি নিউজগ্রুপ তৈরি উদ্দেশ্য (alt.hypertext) এ লিঙ্ক তৈরির
কাজে হাত দেন। এ প্রকল্পের মূখ্য উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বের সবখানেই অবাধ
তথ্যপ্রবাহ।
ইন্টারনেট বিশ্বের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে টিম বার্নাস
জানান, ইন্টারনেটে এ অবাধ তথ্য দুনিয়াকে আরও সুপ্রসারিত করতে নতুন মাত্রার
সব প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এ অর্থে আগামীর ইন্টারনেট বিশ্ব হবে আরও
সুসজ্জিত ও সংগঠিত।
এ মুহূর্তে বিশ্বের অনলাইন পরিমণ্ডলে যে পরিমাণ
ওয়েব পৃষ্ঠা বিদ্যমান তা পুরো বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় তিনগুণ। এ
সংখ্যাতত্ত্ব বৃদ্ধিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুগল, ইউটিউব এবং ফেসবুক
সবচেয়ে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে বলে বিশ্লেষকেরা অভিমত দিয়েছেন।
বিশ্বে মোবাইল গ্রাহক ৫৬০ কোটি!
বিশ্বের নামকরা তথ্যপ্রযুক্তি
গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনারের মোবাইল ফোনের চাহিদা সংক্রান্ত বিস্ময়কর
ভবিষ্যত বিবৃতি প্রকাশ পেয়েছে। এতে বলা হয়, এ বছরের শেষভাগে বিশ্বের
মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা হবে ৫৬০ কোটি।
গত বছরের পুরো সময়ে মোবাইল সংযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে ১১ শতাংশ।
এছাড়া
মোবাইলভিত্তিক সেবা মাধ্যমের হিসাব ৩১৪.৭ বিলিয়নে ঠেকবে বলে আশাবাদী
গার্টনার। গত বছরে এই হিসাবের অর্থের পরিমান ছিল ২৫৭ বিলিয়ন ডলার। এ বছরে
বৃদ্ধি পেয়েছে ২২.৫ শতাংশ।
ফলে স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট পণ্যের
অভিমুখে মোবাইল ‘ডাটা ট্রাফিক’ লক্ষণীয়ভাবে বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও
বিশ্বব্যাপী মোবাইল সংযোগ প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি এবং আগামী ২০১৫ সালের মধ্যে এ
সংখ্যা ৭.৪ বিলিয়ন হবে বলে জানান তারা। সেইসাথে একই বছরে মোবাইলভিত্তিক
সেবা মাধ্যম হতে ৫৫২ বিলিয়ন ডলার আয়ের প্রত্যাশা করেন।
গার্টনারের
এই অনুমানিত তথ্যের ভিত্তিতে মোবাইলভিত্তিক শীর্ষ চারটি বিষয়ে ‘ডাটা
ট্রাফিক’ হবে। মোবাইল সংযোগের সংখ্যা বৃদ্ধি, মুল কেন্দ্রের মোবাইল
নেটওয়ার্কের উচ্চ গতি ও ডাটা প্রাপ্যতা বৃদ্ধি, স্মার্টফোন এবং এর উপাদান ও
অ্যাপলিকেশনের ব্যবহার। নিয়ন্ত্রণকারী সব সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যে
গার্টনারের উপদেশ ডাটা পরিকল্পনা আরও নমনীয় করে প্রদর্শন করা। যেটি
ব্যবহারকারীদের বিলাসবহুল দিক হতে সরিয়ে চমৎকার এ সেবায় আগ্রহী করে তুলবে।
শেষ পর্যায়ে ব্যবহারকারীরা এর গুরুত্বটাও বুঝতে সক্ষম হবে ।
আর
প্রকাশিত এসব তথ্য টেলিকম প্রতিষ্ঠানগুলোকে কিছুটা আশার পথ দেখাবে। কেননা
বর্তমানে তারা ট্যারিফ এর আধিপত্যের স্বীকারে পড়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন