নরসিংদীর মেয়র, আ.লীগ নেতা লোকমান গুলিতে নিহত
(অক্টোবর ১,মঙ্গলবার,ঢাকা)-মুখোশধারীদের গুলিতে আহত নরসিংদী পৌরসভার মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগ নেতা লোকমান হোসেন মারা গেছেন।
গুলিবিদ্ধ লোকমানকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনার এক
ঘণ্টা পর তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ঢামেক জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন
হরিদাস সাহা।
মঙ্গলবার রাত সোয়া ১১টায় লোকমানকে মৃত ঘোষণা করে সার্জন বলেন, "তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় আনা হয়েছিল। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি।"
এর
আগে রাত ১১টায় ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মুজাম্মেল হক
বলেন, "রাত ১০টা ৪০ মিনিটে চিকিৎসক বলেন, 'লোকমান মারা গেছেন'। তবে
নিরাপত্তার কারণে তাকে মৃত ঘোষণা করা হচ্ছে না।"
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে নরসিংদী শহরের আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে মুখোশধারীদের গুলিতে গুরুতর আহত হন লোকমান।
নরসিংদী শহর আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদক শ্রেষ্ঠ মেয়র হিসেবে দুইবার স্বর্ণপদক লাভ করেন।
এদিকে
রাতে লোকমানের ওপর হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে কয়েক শত বিক্ষুব্ধ জনতা রাস্তায়
নেমে আসে। এ সময় তারা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ ও গাড়ি ভাঙচুর করে।
নরসিংদী
সদর মডেল থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন জানান, রাত ৮টায় আওয়ামী লীগ
কার্যালয়ের সামনে একদল মুখোশধারী তাকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি করে
পালিয়ে যায়।
হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে কয়েক শত বিক্ষুব্ধ মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
|
নরসিংদী: নরসিংদী পৌরসভার মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ
সম্পাদক লোকমান হোসেন মঙ্গলবার নিহত হয়েছেন। তার বুকে-পেটে ও মাথায় অন্তত
পাঁচটি গুলি লাগে।
মঙ্গলবার রাত সোয়া ১১টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. নাজমুল শাহীন, ডা. হরিদাস সাহা এবং জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফিরোজ আহমেদ তার মৃত্যুর খবর ঘোষণা করেন।
তার মৃত্যুর খবরে প্রায় ৭০০ নেতাকর্মী সেখানে ভিড় করেছে। নরসিংদীর সাংসদ নজরুল ইসলাম হিরুও সেখানে অবস্থান করছেন।
শাহবাগ থানার ওসি রেজাউল করিম নিরাপত্তার কারণে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
রাত ৮টার দিকে দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হন লোকমান হোসেনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহতের
বোন সাজিয়া আফরিন রোজি বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমার ভাইয়ের কারো সঙ্গে শত্রুতা
ছিলনা। কিন্তু কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটালো আমরা বুঝতে পারছি না। আমরা
প্রধানমন্ত্রীর কাছে হত্যার বিচার চাই।’
এর আগে লোকমানকে নরসিংদী
সদর হাসপাতালেও নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক ডা. মোঃ আবদুল্লাহ আল বাকী
বাংলানিউজকে জানান, তার বুকের বামপাশে দুটি, পেটে দুটি এবং বামহাতে একটি
গুলি লেগেছে।
নরসিংদী প্রতিনিধি জানান, জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে
একটি দলীয় সভা করার সময় গুলিবিদ্ধ হন লোকমান। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এই
ঘটনা ঘটে।
জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয় বসাক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত খুব দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
তিনি জানান, মুখোশধারী ৭/৮ জনের দুর্বৃত্তদল তাকে এলোপাতাড়ি গুলি করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় নরসিংদী শহরে দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছে লোকজন। চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে শহরজুড়ে।
নরসিংদীতে মেয়র হত্যার প্রতিবাদে ডাকা হরতাল প্রত্যাহার
নরসিংদী: নরসিংদী পৌরসভার মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন হত্যার প্রতিবাদে ডাকা হরতাল প্রত্যাহার করা হয়েছে।
জেলা
ছাত্রলীগের ডাকা ৭২ ঘণ্টার এ হরতাল বুধবার ভোর ৬টায় শুরুর সাড়ে তিন ঘণ্টা
পর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রত্যাহার করে দলীয় নেতাকর্মীরা।
জেলা
ছাত্রলীগের সভাপতি শাহা আলম বাংলানিউজকে জানান, বাদ আছর নরসিংদী স্টেডিয়াম
মাঠে লোকমানের জানাজা হবে। এ কারণে হরতাল প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া
হয়েছে। জানাজা শেষে পরবর্তী কর্মসূচীর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জেলা
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয় বসাক জানান, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে জেলা আওয়ামী
লীগ কার্যালয়ে একটি দলীয় সভা করার সময় মুখোশধারী ৭/৮ জনের দুর্বৃত্তদল
লোকমান হোসেনকে এলোপাতাড়ি গুলি করে দ্রুত পালিয়ে যায়। এতে তিনি তার
বুকে-পেটে ও মাথায় অন্তত পাঁচটি গুলি লাগে। এরপর দ্রুত তাকে উদ্ধার করে
প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের
পরামর্শে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ১১টার দিকে
সেখানে চিকিৎধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
হরতাল চলাকালে নরসিংদী বাস
টার্মিনাল থেকেও দূরপাল্লার বাস চলাচল করেনি। শহরের সড়কগুলোতে রিকশা ছাড়া
অন্যকোন যানবাহন চলাচল করেনি। সকল দোকানপাট এমনকি খাবার হোটেল পর্যন্ত বন্ধ
ছিল। তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। এছাড়া শহরে বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক
পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য এস এম কাইয়ুম এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বুধবার ভোর থেকে ৭২ ঘণ্টার
হরতাল ডাকা হয়েছিল।
এছাড়া বুধবার সকাল ১০টায় দলীয় কার্যালয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে মঙ্গলবার রাত ১১টার পর থেকে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা শহরে খণ্ড খণ্ড মিছিল বের করে।
নরসিংদী
রেল স্টেশন মাস্টার মরণ চন্দ্র দাস জানানকয়েকশ মানুষ
স্টেশনে এসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এসময় যাত্রীরা প্রাণ ভয়ে ছুটাছুটি করতে
থাকে। বিক্ষুদ্ধ লোকজন রেলপথের উপর টায়ার দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে
ঢাকা-চট্টগ্রাম পথে রেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে বিক্ষুদ্ধ কর্মীরা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাত্তার হাজীর ভেলা নগরের বাড়িতে হামলা চালায়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নরসিংদী
থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, কয়েকশ’ নেতাকর্মীরা ভেলানগর বাসস্ট্যান্ডে
দু’টি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে পুলিশ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এছাড়া সার্কিট হাউজ রোডে আগুন ধরিয়ে নেতাকর্মীরা অবরোধ করে বলে জানান তিনি।
তবে বর্তমানে নরসিংদী শহরে দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছে লোকজন। চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে শহরজুড়ে।
|
02 Nov 2011 12:19:52 PM Wednesday BdST | | |
নিজ বাসভবনে লোকমান হোসেনের মৃতদেহ
রিয়াজ রায়হান ও মাখন দাস
নরসিংদী থেকে: দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে নিহত নরসিংদীর পৌর মেয়র লোকমান হোসেনের মৃতদেহ বুধবার দুপুরে তার নিজ বাসভবনে নেওয়া হয়েছে।
এদিন
দুপুর ১২টার দিকে বাসাইল এলাকার নিজ বাসভবনে লোকমান হোসেনের মৃতদেহ নিয়ে
আসা হয়। এরপর এখানে হাজার হাজার জনতা তাকে শেষবারের মতো দেখতে ভিড় করে।
এসময় হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
পুরুষের পাশাপাশি শত শত নারী লোকমান হোসেনকে শেষবারের মতো দেখতে এসে সারবেধে দাঁড়িয়েছেন।
এদিকে,
নরসিংদীর পৌর মেয়র লোকমান হোসেন নিহত হওয়ার ঘটনায় ডাকা টানা ৭২ ঘণ্টার
হরতাল সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের
নেতাকর্মী এটা নিশ্চত করেছেন।
শহর ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মৃদুল সাহা জানান, নিহত লোকমান হোসেনের লাশ বাদ আসর দাফন করা হবে।
মঙ্গলবার
রাত আটটার দিকে অজ্ঞাতপরিচয় সন্ত্রাসীদের গুলিতে পৌর মেয়র লোকমান হোসেন
মারাত্মক আহত হন। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর রাত সোয়া
১১টার দিকে তিনি মারা যান।
উত্তপ্ত নরসিংদী: ঘরমুখো মানুষ ভোগান্তিতে
ঢাকা:
কম দোয়া-দোরুদ পড়ে ট্রেনে উঠিনি। ভালই ভালই ট্রেনের টিকিটটি পেয়েছি।
অফিসের ছুটিও জোগাড় করেছি। এখন সকালে ট্রেনে উঠেই দোয়া কালাম শেষ করে
যাত্রা শুরু করি।
কিন্তু এ কী বিপত্তি? ঢাকা থেকে নরসিংদী এসেই বাসাইলে কারা যেন ট্রেনেই আগুন ধরিয়ে দিল।
ছুটোছুটি-হুড়োহুড়ি
প্রাণ নিয়ে বেরিয়ে পড়ার মাঝে মনে পড়ে গেল ইতিহাসে পড়া সেই ব্রিটিশ বিরোধী
আন্দোলনের কথা। তখনও নাকি এরকম হতো। আন্দোলন সংগ্রাম টিকিয়ে রাখতে
বিদ্রোহীরা কখনও লুটেছে ব্রিটিশদের কোষাগার আবার কখনও বা অস্ত্রাগার।
আর
স্বাধীন দেশের স্ব-ভুমিতে এমনই লঙ্কা কাণ্ড দেখে কেউ ঠিক ঠাউরে উঠতে পারছে
না এটা প্রতিবাদ আন্দোলনের নতুন রূপ নাকি নিজেদের ধ্বংস নিজেদের হাতেই
সূচনা।
এর দায় ভার কে নেবে সরকার না বিরোধীদল না আমরা যারা অতি সাধারণ তারা?
এমনিই প্রশ্ন যখন কোন কোন যাত্রীর মনে ঘুরপাক খাচ্ছে তখন প্রাণ ভয়ে ছুটছে অন্য যাত্রীরা।
ট্রেনে
আগুন দেওয়ার সময় মনে ছিল না এটা কিনতে কত টাকা লাগে, কত লোকসান পোহাবে
সরকার, ওই ট্রেনে আমার আত্মীয় আছে, ট্রেনের অতিরিক্ত বগি না লাগালে যেতে
পারতাম না বাড়িতে কত কত কথা।
এ ভাবনার রেশ টেনে লাভ নেই কারণ ছুটতে
হচ্ছে প্রাণ নিয়ে। পাছে আগুনে পুড়ে মরে যাই, পাছে কোরবানির জন্য জমানো গরু
কেনার টাকাটা লুট হয়ে যায়, পাছে বাড়ি যেতে না পারি, পাছে পরিবার-পরিজনের
প্রিয় মুখ দেখতে না পারি।
কেউ ভাবছে প্রতিদিনের অনিশ্চয়তা আর শঙ্কা নিয়ে যেভাবে দিনাতিপাত করছি সেখানে এ ঘটনাতো নস্যি মাত্র।
তাই
ঘরমুখো মানুষগুলো যে কষ্ট করে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কেটেছে, যে
মানুষগুলো অফিসে বসের বিরাগভাজন হয়ে আগেভাগেই ছুটি নিয়েছে, কিংবা যারা ছুটি
না পেয়ে পরিজনদের আগেভাগেই বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছে তারা এখন ছুটছে। কেউ
হাঁটছে, কেউ আতঙ্কে ফেলে আসা ব্যাগটার কথা মনে করে ভাবছে বেঁচে আছি এটাই
যথেষ্ট।
এমনিই অনিশ্চয়তা অধিক সংখ্যক মানুষকে ঠেলে দিয়েছে
নির্বাকের পথে। তাই তারা মাথা নিচু করে বাড়ির পথ ধরেছে পায়ে হেঁটে। আর
সরবরা সংখ্যায় কম থাকলেও অন্যায় তারা করছে প্রকাশ্যে। যেন এটাই সত্য।
মঙ্গলবার
রাত ৮টার দিকে নরসিংদীতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে লোকমান হোসেন আহত হন।
নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তির পর অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেলে
নিয়ে আসা হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনার পর বুধবার থেকে জেলা ছাত্রলীগের ডাকে ৭২ ঘণ্টার হরতাল শুরু হয়েছে।
এরপরে
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ যাত্রীবাহী জনপ্রিয়
ট্রেন সার্ভিস এগারোসিন্দুরের কয়েকটি বগিতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।
মেয়রের বাসার কাছাকাছি বাসাইল নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এরপরই ঘরে ফেরা মানুষ পায়ে হেঁটে যাচ্ছে গন্তব্য। পড়েছে চরম বিপাকে-ভোগান্তিতে।
কথা
হচ্ছিলো নরসিংদী প্রতিনিধি মাখন দাশের সঙ্গে। তিনি জানালেন নরসিংদী এখন
উত্তপ্ত। এখানে কোনো কথাই যেনো কেউ শুনছে না। লোকমান হোসেনের মরদেহ
নরসিংদী নেওয়া হবে, তার জানাযা ও দাফন হবে এ জন্য হরতালকারীরা ৬ ঘণ্টা
হরতাল স্থগিত করেছে। কিন্তু তাতেও সেখানে গাড়ি-ঘোড়া চলা শুরু হয়নি। চলছে না
ট্রেন। ওই পথে চট্টগ্রাম ও সিলেট যেতে যারা অন্য ট্রেনের যাত্রী হয়েছেন
সকালবেলা তারাও আটকে আছেন ট্রেন স্টেশনে কারণ পুড়িয়ে দেওয়া ট্রেন সরালেই
কেবল অন্য ট্রেন চলবে। আর উত্তপ্ত নরসিংদীর ওপর দিয়ে এ সময়ে ট্রেন আদৌ চলার
উদ্যোগ নেবে কীনা সেটিও প্রশ্ন।
খায়রুল কবীর খোকনকে গভীর রাতে আটক
স্টাফ রির্পোটার (নভেম্বর ০২,বুধবার,ঢাকা)-
মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা লোকমান হোসেন নিহত হওয়ার পাঁচ ঘণ্টার মাথায়
নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি ও দলটির কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক
খায়রুল কবীর খোকনকে আটক করেছে পুলিশ।
খোকনের স্ত্রী মহিলা দলের
সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা বলেন, "মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে গোয়েন্দা
পুলিশ আমাদের খিলগাঁও মাটির মসজিদের বাসা থেকে খোকনকে নিয়ে গেছে। তবে তারা
এর কোনো কারণ বলেনি।"
মহানগর
গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা খোকনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তাকে বেইলি রোডে গোয়েন্দা সদর দপ্তরে রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন এই
গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
এদিকে খোকনকে আটকের ঘটনায় নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সকাল সাড়ে ১০টায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার
রাত ৮টার দিকে নরসিংদী শহরের সদর রোডে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে
মুখোশধারীদের গুলিতে গুরুতর আহত হন লোকমান। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা রাতে নরসিংদী সার্কিট হাউস এবং রেল স্টেশনে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
|
|
|
|